চরভদ্রাসনে স. প্রা.বিদ্যালয়ের মাঠ জবরদখল ব্যাবহার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০১৮

চরভদ্রাসনে স. প্রা.বিদ্যালয়ের মাঠ জবরদখল ব্যাবহার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান


নাজমুল নিরব খান,নিউজ ডেস্কঃ 

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নে অবস্থিত বহুল পুরাতন এমপি ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা হলেও এই স্কুলে প্রায় ২শত কোমলমতি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।নিয়মিত ভাবেই বিদ্যালয়টি চলে আসছিল।কিন্তু প্রায় মাসখানেক আগে এক শুক্রবার উক্ত বিদ্যালয় বন্ধ অবস্থায় বিদ্যালয়ের মাঠে বড়,বড় ট্রাক ভার্তি বালু,পাথর ও পিজ আসে।পরের দিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখলে ঠিকাদারদের জানায় এবং এইগুলো সরিয়ে নিতে আহ্বান জানায়।কিন্তু তারা তাদের কথা না শুনে প্রায় মাস খানেক যাবৎ ওইস্থানে ওই মালামাল গুলো রাখে।
দিন দশেক আগে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ আমাদের জানায়,"এই ইট বালু রাখায় আমরা আমাদের নিয়মিত দৈনিক সমাবেশ ক্লাস করতে পারিনা।এবং আমাদের বিদ্যালয়ের এবছরের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারিনি।এছাড়া বাতাসে ধুলাবালু উরে এসে শ্রেনীকক্ষ নোংরা হয়ে যাচ্ছে ।ছেলেমেয়েরা ও সমস্যাবোধ করছে।এছাড়া ওই পাথর ছেলেমেয়েদের জন্য ঝুকিপূর্ন।
এছাড়া একাধিক ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে চায়লে তারা জানায়,ধুলাবালি উরে এসে ক্লাস নোংরা করে,আমরা মাঠে খেলতে পারিনা,আমাদের খেলাধুলা সব বন্ধ।আমাদের পোশাক আর শরীর বালু দিয়ে ভরে যায়।
এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় ভারী যন্ত্রদ্বারা বিদ্যালয়ের মাঠে কাজ চলছে ও পাশেই বিশাক্ত পিজ পোরানো হচ্ছে।
তাহের বিশ্বাস নামে এক শ্রমিক জানায় তাদের ঠিকাদরের নাম আকবর তবে তারা কেউ তাকে চেনেনা।উক্ত ঠিকাদারের ম্যানেজার খোকন কে নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে স্কুলের প্রাধান শিক্ষক শাহীন শিকদার বলেন, "আমরা বারবার বারন করার পরেও তারা ঐখানে এসমস্ত জিনিষ রাখে।বারবার সরিয়ে নেওয়ার কথা দিলেও সরায় নি"।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের জানায় গত ৩/৪ দিন আগে আমি ওই স্কুলে যেয়ে সরাসরি ঠিকাদের ম্যানেজার ও ইঞ্জিনিয়ারকে বলি কিন্তু তারা দ্রুত কাজ শেষ করবে বলে জানায়।তবে কবে নাগাদ শেষ হবে সেটা জানায়নি"।

Post Top Ad

Responsive Ads Here