তিন শর্তে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া।। - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, মার্চ ১২, ২০১৮

তিন শর্তে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া।।

সময় সংবাদ ডেস্কঃ

খালেদা জিয়াকে আদালত দুটি মামলায় তিন শর্তে জামিন দিয়েছেন। শর্তগুলো হলো- দুই লাখ টাকার বন্ড, দুইজনের জিম্মা এবং ভবিষ্যতে বিদেশ গেলে আগে থেকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান খালেদা জিয়া। এসময় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় তিনি জামিন পান। ওই আদালতেই মামলা দুটির বিচারকার্য চলছে।

খালেদার পক্ষে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। শুনানিতে জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জামিন দিলে পলাতক হবেন না। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এ দিন আদালত এ মামলার অপর দুই আসামি কাজী সেলিমুল হক এবং শরীফ উদ্দীনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এক লাখ টাকার মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপরই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বক্তব্য শুরু করেন।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দাখিল করে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই দুটি মামলায় তিনি সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। গতকাল রাতে তিনি বাসায় ফিরেছেন। আজ সকালেই তিনি আদালতে এসেছেন আত্মসমর্পণের জন্য। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কারণেই জামিন চাইতে এসেছেন। তিনি আদালতের নির্দেশ মান্য করেই চলেন। তাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী জামিন কামনা করছেন।

অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এর আগেও দুইবার খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করা হয়েছিল। তিনি জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তিনি বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। সুতরাং তার জামিনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাচ্ছি।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের সময় ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার ছাড়াও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, আবদুর রাজ্জাক খান, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে আজ আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, আমানুল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে বের হন। চিকিৎসা শেষে তিন মাস পর গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেছেন।সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলায় জামিন পেলেন, দুপুরে জেলা জজ আদালতে আরেকটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন খালেদা জিয়া।

এ ছাড়া বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন বেগম। এ ছাড়া ১২ অক্টোবর মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here