ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ; বিলুপ্তির পথে হারিকেন ।। shomoy sangbad - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুন ১২, ২০১৮

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ; বিলুপ্তির পথে হারিকেন ।। shomoy sangbad

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
গ্রামগঞ্জে এক সময় রাতে ব্যবহারের জন্য মানুষের মূল হাতিয়ার ছিল হারিকেন। এখন সেই হারিকেন এখন বিলুপ্তির পথে। এক সময় গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ ছিলনা। তখন গ্রামের রাতের পরিবেশ থাকত ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন। গ্রামের মানুষ হাট বাজারের দোকান দারেরা দেখা যেত দুপুর থেকে হারিকেনের যতœ  নেওয়া শুরু করে দিত। পরে বাজারে যাওয়ার সময় হারিকেনটি হাতে করে নিয়ে যেত। বাজারে আসার সময় হারিকেনে আগুন জ¦ালিয়ে রাস্তা দেখে দেখে বাড়িতে ফিরত। সন্ধ্যা হতে না হতে গৃহস্থালী কাজে রান্নাবান্না, খাওয়া দাওয়া, সাংসারিক আরও অন্যান্য কাজে জন্য শুরু হয়ে যেত হারিকেনের ব্যবহার। তখনকার সময়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার জন্য হারিকেনের বিকল্প ছিল না। বাড়ীর কর্তা ব্যক্তিরা রাতে তাদের বাহিরের কাজের জন্যও হারিকেন ব্যবহার করত। এমনকি পরিবারের সদস্যরা তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের কাজেও এটি ব্যবহার করত। হারিকেনের ব্যবহার গ্রামগঞ্জে এখনও কিছু কিছু লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে মৎস্য শিকারীরা এখন মাছ ধরতে হারিকেন ব্যবহার করে থাকে।
যান্ত্রিক যুগে চিঠিপত্র ও টেলিগ্রামের ব্যবহার নেই বললেই চলে। একসময় রাতের আধারে হারিকেন হাতে নিয়ে ছুটত ডাকপিয়ন ক্রোশের পর ক্রোশ। সেসময় ছিল না বিদ্যুৎ তাই হারিকেনই ছিল ডাকপিয়নের কাছে একমাত্র ভরসা।
আশি বছরের বৃদ্ধ রনজনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাগো সময় রাতের বেলা হারিকেন ছাড়া কল্পনাই করা যাইত না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই সন্ধ্যা বাতি হিসাবে হারিকেন জ¦ালানো হত। আমার ঘরে তিনটি হারিকেন আছে। এখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসার কারণে হারিকেনের চল প্রায় উঠেই গেছে। তখনকার দিনে সংসারের যাবতীয় কাজ এবং ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য হারিকেনের বিকল্প ছিল না।
চায়ের দোকানদার রহমান(৬০) বলেন, আগে গ্রামগঞ্জে চায়ের দোকান শুরু করে মনোহারি সকল স্থানেই হারিকেনের ব্যবহার ছিল ব্যাপকভাবে। সন্ধ্যা হলেই গ্রামের লোকজন আড্ডা দিতে আসত আমার দোকানে। সেখানে চলত হারিকেনের মৃদু আলোয় খোশ গল্প, গানবাজনা। সেই দিনগুলো খুব ভালোই ছিল। এখন বিদ্যুৎ আসাতে আগের সেই মজা আর নেই। মানুষ এখন ঝুঁকে পরেছে টিভির দিকে।
নাগরপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবর আল মামুন বলেন, আগের দিনে আমাদের রাত্রি বেলায় পড়ালেখার জন্য একমাত্র উপাদান ছিল হারিকেন। বাংলাদেশে বিদ্যুতায়নের ফলে সেই হারিকেনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে।    

Post Top Ad

Responsive Ads Here