নাহিদ হোসেন নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার জানিয়েছেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীক জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে তার কোনরকম সংশ্লিষ্টতা নাই। তাকে একটি বিশেষ মহল ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বনপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী করেন। গত রবিবার ও সোমবার বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় ‘জোর করে বাল্যবিয়ে দিলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাল্যবিয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাঝগাঁওয়ের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুল হক, সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, আ.লীগ নেতা শাহজাহান পাঠান প্রমূখ।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকারসহ সঙ্গীয়রা ওই ইউনিয়নের আটাই গ্রামের পলিটেকনিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে মাঝগাঁও তিরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেন। এর পেছনের কারণ হিসেবে উল্লেখ ছিলো মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসেছিলো মাত্র। কিন্তু আ.লীগ নেতাসহ সঙ্গীয়রা তাদেরকে জোর করে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
এদিকে মেয়েটির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে সে জানায়, তার ইচ্ছেতেই এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাল্যবিয়ে পড়ানোর জন্য দায়ী কথিত কাজী মুক্তি হোসেন সংবাদপত্রে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ কাজী জানান, মুক্তি হোসেন নামে বড়াইগ্রাম উপজেলায় কোন কাজী নাই। যদি এই নামে কেহ বিয়ে পড়িয়ে থাকেন তাহলে ভুয়া কাজীর দ্বারা ভুয়া বিয়ে হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।