নাটোরের কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও অবৈধ চুক্তিনামা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ২১, ২০১৮

নাটোরের কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও অবৈধ চুক্তিনামা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন !

আবু মুসা নাটোর প্রতিনিধি-
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় ও অবৈধ চুক্তিনামা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র ছাত্রীরা।

বৃহঃস্পতিবার (২১ জুন) সকাল সারে ১০ টায় উপজেলার জোনাইল ডিগ্রী কলেজের সামনে ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধন শেষে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই মানবন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জোনাইল ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আসাদ প্রমূখ। বক্তব্যে বক্তারা বলেন, একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ১হাজার টাকা অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভর্তির সময় ১ বছরের অগ্রীম বেতন নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করাতে হিমসিম খাচ্ছে অভিভাবকেরা। দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কম খরচে ভর্তির কোন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। কলেজে ভর্তির শর্তাবলী ও চুক্তিনামার নামে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সার্থসিদ্ধি হাসিলের লক্ষে সাধারন ছাত্র ছাত্রী, ছাত্রনেতা ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা না করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়া নিয়মনীতির জালে ছাত্রছাত্রীদের বেধে ফেলছেন। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে সংস্লীষ্ঠ সকল বিষয় ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করতে হবে । ছাত্রছাত্রীদের দাবী না মানা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসেন তোজাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ টাকা বেশি নিয়ে কলেজে ভর্তি করছে, কোন ছাত্রছাত্রী এসকল বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বা উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে সেই সকল ছাত্রদের নামে থানা মামলা ও এসপি অফিস বরাবর মিথ্যা অভিযোগ করে নিজেকে স্বচ্ছ প্রমান করার পায়তারা করছে অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ নিয়োগ বাণিজ্য সহ যত প্রকার অপকর্ম আছে সে সবই করেছে। কলেজে কোনো অনুষ্ঠান হলে সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের আমন্ত্রন ও তোয়াক্কা না করে মনগড়া যা ইচ্ছে তাই করছে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আবু আছর মোহাম্মদ শফিউজ্জামান বিন্দুর সাথে কলেজে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। অসংখ্যবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কোরলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

Post Top Ad

Responsive Ads Here