জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা অভিমুখে ট্রেন চলাচলের কিংবা টাঙ্গাইলের উপর দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবীতে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল ষ্টেশনে জেলা অনলাইন গ্রুপ ঐক্যজোটের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপি ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রণাঙ্গন সেনার বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার তোফাজ্জল হোসেন, টাঙ্গাইল ক্লাবের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খান (খোকন), বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি নাসরিন জাহান খান (বিউটি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. ওমর ফারুক (গেরিলা বিপ্লব), সহ-সভাপতি এম এ মামুন নাহিদ, সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌরশাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন রাসেল (রাসেল), টাঙ্গাইলবাসীর জীবন যাত্রার সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্রæপের এডমিন সামছুর রহমান মিলন, আল-আমিন খান প্রিন্স, শারমিন শ্রæতি, এহসান ইসলাম খান, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান মিলন, আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপের এডমিন রাশেদ ইবনে কুরবান, তালাশ খান, মিম জুলকার নাইম, প্রিয় টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপের এডমিন মীর শামিমুল আলম, চাদঁ সুলতানা, মোঃ আল আমিন খান, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি শাহীন চাকলাদার, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রতন সিদ্দিকী, মেহেদী হাসান, তনয় কুমার বিশ্বাস, প্রবীণ দৌড়বিদ মির্জা শাহজাহান, মনিরুজ্জামান মনির, খোরশেদ আলম, মশিউর রহমান সোনা, যুবলীগ নেতা তারেক আমিন খান, হোমিও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম, ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সাদ্দাম, রফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অনলাইন গ্রুপের সম্মানিত সদস্যগণ।
বক্তারা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ, সেচ্ছাসেবী সামাজিক সেবামূলক বিভিন্ন সংগঠন, সুশীল সমাজ, সচেতন নাগরিক ও সাংবাদিকগণের সহযোগীতায় এই শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হলো। আমরা আপনাদের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালু কিংবা টাঙ্গাইলের উপর দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবি জানাই। রাজধানী ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। একসময় এ পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মাধ্যমে। এরপর পাকশী-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি জেলার বাস-ট্রাক এ মহাসড়ক ব্যবহার করছে। ফলে এ মহাসড়ক এখন প্রায় ২০টি জেলার গাড়ি চলাচল করছে। এতে টাঙ্গাইল জেলার মানুষ মহা সমস্যায় পড়ে গেছে। এই ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এখন কত সময় লাগবে, তা আগে থেকে বলার উপায় নেই। তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তির যেন কোনো অন্ত নেই। এ পথে একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করলে এ সময় অনায়াসে দুই ঘণ্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব। একসময় টাঙ্গাইলে রেলপথ না থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর কল্যাণে এখন সেখানে রেলপথ আছে। উত্তরবঙ্গ ও খুলনার বেশ কযয়েকটি ট্রেনও টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু এসব ট্রেনে টাঙ্গাইলের মানুষের পক্ষে আসন পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, সেগুলো আগে থেকেই ভরে আসে। আর সকালে ট্রেন ধরে অফিস করা যায়, এমন ট্রেন নেই। এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল একটি কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। অন্তত টাঙ্গাইল থেকে সকাল সাতটায় একটি ট্রেন ছাড়লে বহু মানুষ ঢাকায় অফিস ধরতে পারবেন। আবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বা সাতটায় ঢাকা থেকে সেটি ছাড়লে মানুষ অনায়াসে টাঙ্গাইলে ফিরতে পারবেন। ইতিপূর্বে কয়েকবার এ ট্রেন চালু করার চেষ্টা করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, বাধা-বিপত্তি ঠেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেনসেবা চালু করা হোক।