জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের অন্যতম উপাদেয় খাদ্য হচ্ছে মুড়ি। এই মুড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। আসল মুড়ির স্বাদ পেতে হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ তুলনাহীন। মুড়ির চাহিদা সারা বছর ব্যাপী থাকলেও রোজার সময় এর চাহিদা বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই এই রমজানে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের গৃহিনীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি ভাজার কাজে। পুঁজি সংকট এবং দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না মেশিনে ভাজা মুড়ির সঙ্গে। উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কারিগররা বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে এখন অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া, মাইস্তা, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া গ্রামে গেলে দেখা যায় তাদের। ৫ গ্রামের ৬ শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন হাতে মুড়ির ব্যবসা করে। পুরুষেরা বাজারজাত করলেও মুড়ি ভাজার সকল কাজ করেন গৃহিনীরা। ওইসব গ্রাম গুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২/৩’শত মণ মুড়ি ভাজা হয়। মুড়ি ভাজার জন্য চাল, লবন, বালু, খোলা, ঝাইনজর, চালুন ও পাট কাঠি নামক সরঞ্জাম মুড়ি ভাজার কাজে ব্যবহার করতে হয়।
দৌলতপুর গ্রামের লক্ষী রাণী মোদক বলেন, হাতে মুড়ি ভাজা খুব কষ্ট, প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মুড়ি ভাজি। আমাদের হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ ও চাহিদা এহনো আছে, তবে মেশিনের ভাজা মুড়ির দামও কম স্বাদও কম।
ওই গ্রামের জীতেন মোদক বলেন, বংশগত ভাবেই আমরা এই মুড়ি ভাজার পেশায় আমরা অনেক দিন যাবত আছি। মুড়ি বিক্রি করেই আমার সংসার চলে।
স্বপন কুমার মোদক বলেন, রমজান মাসের ২০-২৫দিন আগে থেকেই মুড়ির ধান সংগ্রহ করি। রমজানের ১-২দিন আগে থেকে মুড়ি ভাজার কাজ শুরু হয়। এ হাতে ভাজা মুড়ি প্রতিমণ বর্তমানে বিক্রি করছি ৩২০০ টাকায়।
মাইস্তা গ্রামের রমেলা বেগম বলেন, ভোর রাত থেকে মুড়ি ভাজা শুরু করি, হাতে মুড়ি ভাজতে অনেক কষ্ট হয় এবং খরচও বেশি। হুনছি সরকার নারীগো অনেক সাহায্য করে কিন্তু এহন পর্যন্ত সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই নাই।
মুড়ি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বাড়ী বাড়ী গিয়ে মুড়ি কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করি। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেক বেশি। এতে কোন রকম ভেজাল নেই। এই মুড়িতে শুধু লবন-পানি ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয় না।
হাতে মুড়ি ভাজার কারিগররা অনেকেই জানান, সরকার আমাদের দিকে একটু সু-নজর দিলে এ ব্যবসা আরো ভালভাবে করতে পারতাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর থেকেই গৃহিনীরা এই মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চালুন দিয়ে চালিয়ে মুড়ি থেকে বালু ছাড়াচ্ছে, কেউ বস্তা ভরছেন। আবার এ সব কাজ অনেক বাড়ীতে এক জনেই করছেন। ব্যবসায়ীরা নারান্দিয়ার মুড়ি পিকআপ-ভ্যান যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের অন্যতম উপাদেয় খাদ্য হচ্ছে মুড়ি। এই মুড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। আসল মুড়ির স্বাদ পেতে হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ তুলনাহীন। মুড়ির চাহিদা সারা বছর ব্যাপী থাকলেও রোজার সময় এর চাহিদা বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই এই রমজানে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের গৃহিনীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি ভাজার কাজে। পুঁজি সংকট এবং দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না মেশিনে ভাজা মুড়ির সঙ্গে। উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কারিগররা বাপ-দাদার এ পেশা ছেড়ে এখন অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া, মাইস্তা, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া গ্রামে গেলে দেখা যায় তাদের। ৫ গ্রামের ৬ শতাধিক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন হাতে মুড়ির ব্যবসা করে। পুরুষেরা বাজারজাত করলেও মুড়ি ভাজার সকল কাজ করেন গৃহিনীরা। ওইসব গ্রাম গুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২/৩’শত মণ মুড়ি ভাজা হয়। মুড়ি ভাজার জন্য চাল, লবন, বালু, খোলা, ঝাইনজর, চালুন ও পাট কাঠি নামক সরঞ্জাম মুড়ি ভাজার কাজে ব্যবহার করতে হয়।
দৌলতপুর গ্রামের লক্ষী রাণী মোদক বলেন, হাতে মুড়ি ভাজা খুব কষ্ট, প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মুড়ি ভাজি। আমাদের হাতে ভাজা মুড়ির স্বাদ ও চাহিদা এহনো আছে, তবে মেশিনের ভাজা মুড়ির দামও কম স্বাদও কম।
ওই গ্রামের জীতেন মোদক বলেন, বংশগত ভাবেই আমরা এই মুড়ি ভাজার পেশায় আমরা অনেক দিন যাবত আছি। মুড়ি বিক্রি করেই আমার সংসার চলে।
স্বপন কুমার মোদক বলেন, রমজান মাসের ২০-২৫দিন আগে থেকেই মুড়ির ধান সংগ্রহ করি। রমজানের ১-২দিন আগে থেকে মুড়ি ভাজার কাজ শুরু হয়। এ হাতে ভাজা মুড়ি প্রতিমণ বর্তমানে বিক্রি করছি ৩২০০ টাকায়।
মাইস্তা গ্রামের রমেলা বেগম বলেন, ভোর রাত থেকে মুড়ি ভাজা শুরু করি, হাতে মুড়ি ভাজতে অনেক কষ্ট হয় এবং খরচও বেশি। হুনছি সরকার নারীগো অনেক সাহায্য করে কিন্তু এহন পর্যন্ত সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাই নাই।
মুড়ি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বাড়ী বাড়ী গিয়ে মুড়ি কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করি। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেক বেশি। এতে কোন রকম ভেজাল নেই। এই মুড়িতে শুধু লবন-পানি ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয় না।
হাতে মুড়ি ভাজার কারিগররা অনেকেই জানান, সরকার আমাদের দিকে একটু সু-নজর দিলে এ ব্যবসা আরো ভালভাবে করতে পারতাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর থেকেই গৃহিনীরা এই মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চালুন দিয়ে চালিয়ে মুড়ি থেকে বালু ছাড়াচ্ছে, কেউ বস্তা ভরছেন। আবার এ সব কাজ অনেক বাড়ীতে এক জনেই করছেন। ব্যবসায়ীরা নারান্দিয়ার মুড়ি পিকআপ-ভ্যান যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।