টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কমিশনার পক্ষের হামলায় আহত ৩। মির্জাপুর পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ডের আলী আজম কমিশনার পক্ষ ও পাহাড়পুর অবস্থিত ইকরা কোচিং সেন্টার এন্ড একাডেমী মডেল স্কুল মালিক অর্থাৎ দু পক্ষের হামলায় ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার পাহাড়পুর এলাকার এক আবাদি ক্ষেতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে গত ১৮ ও ১৯ জুন আজম কমিশনার বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম পাশের্^ পাহাড়পুর ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শুরুর পূর্ব মূহুর্তে ইকরা কোচিং সেন্টার এন্ড একাডেমী মডেল স্কুলের সত্বাধিকারী অর্থাৎ খেলার আয়োজক মাইনুদ্দিন ও কাদের খান ও নুরুল ইসলাম খানকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে অতর্কিতভাবে হামলা করে।
মামলার বাদী মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তার আপন ভাতিজা মাইনুদ্দিন ও কাদের খানের ইকরা কোচিং সেন্টার এন্ড একাডেমি মডেল স্কুল তৈরিকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে মামলার বিবাদীগণ যথাক্রমে আকাশ(১৯), মমিন খান(৩৫), আলী আজম খান[৫০](কাউন্সিলর), লাখু খান (২৫), রানা(১৯) এরা খেলার পূর্ব মূহুর্তে চাইনিজ কুড়াল, বটি’দা, লাঠিসোটা নিয়ে বাদী পক্ষের লোকজনের উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারীভাবে মারামারি করতে থাকে। মারামারির এক পর্যায়ে মামলার ১নং বিবাদী আকাশের হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে মাইনুদ্দিনের মাথায় আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়। তাছাড়াও মামলার ২নং বিবাদী মমিন খান তার হাতে থাকা বটি’দা দিয়ে কাদের খানকে আঘাত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে কাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে প্রচন্ডভাবে আঘাত করা হয়। সে সময় কাদেরকে রক্ষা করার জন্য তার পিতা নুরুল ইসলাম খান এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি দিয়ে মেরে আঘাত করা হয়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দুপক্ষের লোকজনকে সরিয়ে নিলে পরিস্থীতি ঠান্ডা হয়।
আহতদের মধ্যে কাদের খান ও মাইনুদ্দিন খান বর্তমানে জামুর্কী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে এবং নুরুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে জামুর্কী হাসপাতাল থেকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযুক্ত আসামী আলী আজম কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত খেলায় তাকে প্রধান অতিথি করায় সাইফুল খানের লোকজন তা মানতে নারাজ হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের সাথে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এ ঘটনায় তার নিজের, ভাতিজা, নাতির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় কোনো কুপাকুপি হয়নি। শুধুমাত্র কথাকাটাকাটি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনার। অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে হয়রানি করার লক্ষে বাদী পক্ষের লোকজন তার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত আসামীরা রাতেই পালিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।