মোঃ মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের সমর্থকদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর সূর্য্যতরুণ উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ মূহুর্তে এ ঘটনাটির সুত্রপাত ঘটে। এতে করে দুই গ্রæপেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এ ঘটনাটি এলাকায় মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এলাকার মানুষ এতে ক্ষুব্ধ। এলাকার সচেতন মানুষেরা এ ঘটনার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বংশীনগর সূর্য্যতরুণ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য পদে মোট ০৮জন(পুরুষ) প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ০৯জুন শনিবার সকাল ০৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। চারটার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোপাল চন্দ্র সাহা ফলাফল ঘোষণা করতে গেলে ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই ঘোষণা দিতে বাঁধা দেয় কিছু সমর্থক। কারণ নির্বাচনের প্রার্থী শফিকুল, নারায়ন সরকার, মোঃ হরমুজ আলী খান ও নেওয়াজ তাদের অভিযোগ এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, জাল ভোট/ জাল ভোট হয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসার টাকা খেয়ে তাদের কাছে বিক্রি হয়ে পক্ষবাদিত্ব করে ফলাফল ঘোষণা করতে চান। তারা আরও বলেন তিনপ্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন, কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার তিনজন প্রার্থীদের লটারি করেন অনুমতি ছাড়াই। তবে প্রার্থী ও সচেতন মহল বলছেন প্রার্থীদের অনুমতি ছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার কিভাবে লটারি করেন এ প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়!
আর তাই এ ফলাফল কেউ মানতে রাজি হয় না। এ নিয়ে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে এ নির্বাচনের ফলাফল না মেনে দু পক্ষের গ্রæপের সাথে শুরু হয় মারামারি। এতে করে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য দুপক্ষের লোকজনদের স্কুল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ঐস্থানে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব না হলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শে প্রিজাইডিং অফিসার সকলকে অবগত করেন যে, মির্জাপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তারপর উপজেলা পরিষদের ভিডিও কনফারেন্স রুমে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে করে ১নং ব্যালটে নারায়ন সরকার ১৪১ভোট পেয়ে নির্বাচনে প্রথম, ৫নং ব্যালটে মোঃ নেওয়াজ উদ্দিন ১২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং ২নং ব্যালটে মাহবুবুল আলম, ৩নং ব্যালটে মোঃ আলতাফ ও ৬নং ব্যালটে মোঃ হরমুজ আলী খান সমান অর্থাৎ ১২৮ভোট পান। লটারির মাধ্যমে মোঃ আলতাব নির্বাচনে তৃতীয় স্থান ও মাহবুবুল আলম চতুর্থ স্থান অধিকার করে। তবে এ ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচনের প্রার্থী শফিকুল, নারায়ন সরকার, মোঃ হরমুজ আলী খান ও নেওয়াজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভোট পুনরায় গণনার জন্য একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র সরকার সাহা বলেন, যেহেতু তিন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন সেই ক্ষেত্রে আমি নির্বাচনের নীতিমালা অনুসরণ করে এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের লিখিত সম্মতি নিয়েই লটারি করেছি এবং ফলাফল ঘোষণা করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের সমর্থকদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর সূর্য্যতরুণ উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ মূহুর্তে এ ঘটনাটির সুত্রপাত ঘটে। এতে করে দুই গ্রæপেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এ ঘটনাটি এলাকায় মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এলাকার মানুষ এতে ক্ষুব্ধ। এলাকার সচেতন মানুষেরা এ ঘটনার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বংশীনগর সূর্য্যতরুণ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য পদে মোট ০৮জন(পুরুষ) প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ০৯জুন শনিবার সকাল ০৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। চারটার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোপাল চন্দ্র সাহা ফলাফল ঘোষণা করতে গেলে ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই ঘোষণা দিতে বাঁধা দেয় কিছু সমর্থক। কারণ নির্বাচনের প্রার্থী শফিকুল, নারায়ন সরকার, মোঃ হরমুজ আলী খান ও নেওয়াজ তাদের অভিযোগ এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, জাল ভোট/ জাল ভোট হয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসার টাকা খেয়ে তাদের কাছে বিক্রি হয়ে পক্ষবাদিত্ব করে ফলাফল ঘোষণা করতে চান। তারা আরও বলেন তিনপ্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন, কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার তিনজন প্রার্থীদের লটারি করেন অনুমতি ছাড়াই। তবে প্রার্থী ও সচেতন মহল বলছেন প্রার্থীদের অনুমতি ছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার কিভাবে লটারি করেন এ প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়!
আর তাই এ ফলাফল কেউ মানতে রাজি হয় না। এ নিয়ে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে এ নির্বাচনের ফলাফল না মেনে দু পক্ষের গ্রæপের সাথে শুরু হয় মারামারি। এতে করে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য দুপক্ষের লোকজনদের স্কুল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ঐস্থানে ফলাফল ঘোষণা সম্ভব না হলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শে প্রিজাইডিং অফিসার সকলকে অবগত করেন যে, মির্জাপুর উপজেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তারপর উপজেলা পরিষদের ভিডিও কনফারেন্স রুমে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে করে ১নং ব্যালটে নারায়ন সরকার ১৪১ভোট পেয়ে নির্বাচনে প্রথম, ৫নং ব্যালটে মোঃ নেওয়াজ উদ্দিন ১২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং ২নং ব্যালটে মাহবুবুল আলম, ৩নং ব্যালটে মোঃ আলতাফ ও ৬নং ব্যালটে মোঃ হরমুজ আলী খান সমান অর্থাৎ ১২৮ভোট পান। লটারির মাধ্যমে মোঃ আলতাব নির্বাচনে তৃতীয় স্থান ও মাহবুবুল আলম চতুর্থ স্থান অধিকার করে। তবে এ ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচনের প্রার্থী শফিকুল, নারায়ন সরকার, মোঃ হরমুজ আলী খান ও নেওয়াজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভোট পুনরায় গণনার জন্য একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র সরকার সাহা বলেন, যেহেতু তিন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন সেই ক্ষেত্রে আমি নির্বাচনের নীতিমালা অনুসরণ করে এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের লিখিত সম্মতি নিয়েই লটারি করেছি এবং ফলাফল ঘোষণা করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।