নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ও ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে অপরাধীকে সনাক্ত করতে নরসিংদীতে ড্রোন চালু করা হয়েছে।
প্রতিদিন আকাশ পথে শহরের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করবে ড্রোন ক্যামেরা। রাতেও ড্রোন ওড়ানো যাবে। নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করতে পারবে। ড্রোন ক্যামেরা নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চলে টেটাযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে অনেকটাই অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এসপি সাইফুল্লা আল মামুন বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। আমরা সেটাই শুরু করেছি। অন্যান্য জেলাগুলোতেও শুরু করা উচিত বলে মনে করি।
তিনি জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরসহ স্থায়ীভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলতি মাসে থেকে উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন দুটি চালু করা হয়েছে। এর সাহায্যে এসপি কার্যালয় থেকে পুরো শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি ঈদের জামায়াতগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে ড্রোন দিয়ে।
এসপি বলেন, নরসিংদীর চরাঞ্চলে দলে দলে মানুষ টেটাযুদ্ধ করে থাকে। এই রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে সময় উত্তিজিতরা পুলিশ দেখলে আরও ক্ষিপ্ত হয়। এসময় আমরা ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে পারবো। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন দিয়ে পেট্রোল ও নজরদারি করা হবে। মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রেণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ড্রোন ব্যবহার করে। সেসব দেশে এর সুফলও পাচ্ছে। তাই বাংলাদেশ পুলিশেও ড্রোন ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে আমার এলাকাতে ড্রোন উড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এটার কয়েকটি দিক রয়েছে। প্রথমত, যখন খুশি তখনই আমরা এলাকাতে পেট্রোলিং করতে পারছি। ঘিঞ্জি এলাকার পরিস্থিতিও সহজে দেখা যায়। এতে অপরাধীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেসব এলাকায় মাদকসেবীদের জমায়েত হয়, বখাটেদের আড্ডা দেয় সেসব জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হয়।
প্রতিটি ড্রোন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে কেনা হয়েছে। বর্তমানে জেলা পুলিশ ৫ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আগামীতে একজন এসআই নেতৃত্বে একটি নজরদারি ইউনিট গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান এসপি।