মোস্তাফিজুর রহমান,গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা ঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হরিরামপুর ইউনিয়নের কিশমত দুর্গাপুর গ্রামে জোরপুর্বক অন্যায়ভাবে জমি দখলে বাধা দেয়ায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের কিশমত দুর্গাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল সহ তার ভাইয়েরা পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমি যার খতিয়ান নং-১৯, জে.এল নং-২০১, দাগ নং-৪৮৮, জমির পরিমান- ১৪ শতক দীর্ঘদিন ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। কিন্ত বেশ কিছুদিন যাবৎ পারবিারিক শত্রুতার জেরে একই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে রজিবর ও তার ছেলেরা এবং ভাই- ভাতিজারা উক্ত জমিতে বেদখল করবে মর্মে বলিয়া বেড়ায়। এ নিয়ে এলাকার মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসী সভার মাধ্যমে রজিবর কে জমির দাবীর পক্ষে কাগজ পত্রাাদি দেখাতে বললে তারা কৌশলে সময় নেয়। এদিকে ঘটনার দিন গত ২২/৬/১৮ তারিখে সকালে রজিবর ও তার ছেলে মেয়েরা, ভাই-ভাতিজারাসহ ভাড়াটে লোকজন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া অনধিকার প্রবেশ করিয়া উক্ত জমি দখলের জন্য ছাপড়া ঘর দেয়ার সময় বাদী মনিরুল গংরা বাঁধা দিলে রজিবরের হাতে থাকা বেকী দিয়ে মনিরুলের মাথায় বাম পার্শ্বে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করিয়া রক্তাক্ত হাড় কাটা জখম করে ও অন্যান্য আসামীগন সারা শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করিয়া রক্তাক্ত ছিলা জখম করে। এ সময় মনিরুলের চিৎকারে তার পিতা নুরুল ইসলাম এগিয়ে আসিলে আসামী সাদ্দাম তার হাতে থাকা ধারালো বেকী দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে নুরুলের মাথার ডান পার্শ্বে আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে, সেসময় নুরুল মাটিতে লুটে পড়লে আসামী সাইফুল তার হাতে থাকা রড দ্বারা কপালের ডান পাশ্বে ডান চোখে আঘাত করে। অন্যান্য আসামীগন একে অপরকে সহযোগীতা করে। পরে লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা মেডিকেলে ভর্তি করায় পরে অবস্থার অবনতি হলে কতব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে প্রেরন করে। বর্তমানে আহতরা উক্ত মেডিকেলে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি আছে । পরে মিনারুল বাদী হয়ে রজিবরসহ ৭ জনকে আসামী করে গোবিন্দঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই নেওয়াজ জানান, মারামারি নিয়ে উভয় পক্ষ মামলা করেছে। রজিবর গংরা জামিনে না থাকায় তাদেরকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।