মির্জাপুরে যুবলীগ নেতা জি.এস সেলিমসহ চারজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুলাই ০৩, ২০১৮

মির্জাপুরে যুবলীগ নেতা জি.এস সেলিমসহ চারজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড

মোঃ মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গালের মির্জাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্ববায়ক মোঃ সেলিম সিকদার(জি.এস সেলিম)সহ চারজনকে  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ অভিযানে চারজনের কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।

সে সময় ঐ এলাকার সিবার উদ্দিনের বাড়ির একটি রুম থেকে ইউনিয়ন পাড়ার কফিল উদ্দিনের ছেলে মির্জাপুর বিশ^বিদ্যালয় কলেজের সাবেক জি.এস ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহŸায়ক সেলিম সিকদার, বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মিজান, গোড়াইল গ্রামের মৃত শাজাহান মিয়ার ছেলে সাইফুল ও গেড়াকী গ্রামের নাক্কু মিয়ার ছেলে আলী হোসেনকে পাওয়া গেলেও এদের চারজনের কাছ থেকে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। তবে মাদক গ্রহণের কিছু আলামত পাওয়ায় তাদের ৪ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা করে মোট ১৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য এদের মধ্যে মিজানকে গত ৭ জুন পুলিশ মাদকসহ গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠালেও সে জামিন মঞ্জুরের মাধ্যমে জেল হাজত থেকে বের হয়ে এসে আবারও মাদক নিয়ে কাজ করতে থাকে! তবে প্রশাসন এদের ধরা ছোয়ার বাইরে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। 

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পৌর সদরের ইউনিয়নপাড়াতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিচালনা শেষে কারও কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। তবে ইতি পূর্বে মাদক ব্যবহার হয়েছে মর্মে আলামত সংশ্লিষ্ট কিছু পাওয়ায় যার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই, যে অপরাধের জন্য আইনে শাস্তির কোনো বিধান নেই  এমন অপরাধ আমাদের কাছে প্রতিয়মান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আজগর হোসেন জানান, অনেক তল্লাশি করেও সন্দেহভাজন চারজনের কাছ থেকে কোনো প্রকারের মাদক না পাওয়া গেলেও কিছু আলামত পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ২৬ধারা মোতাবেক অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here