ডেস্ক খবর-
বাংলাদেশে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আসা নাগরিকরা বেসরকারি খাতের বহু উচ্চপদে চাকরি করছেন। ফলে দেশের অনেক শিক্ষিত যুবক বেকার বসে আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।
বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর শেয়ার করে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়রা চাকরি করে যে রেমিটেন্স পাঠায় তা ভারতের চতুর্থ রেমিটেন্সের উৎস।তিনি লেখেন, গত বছর ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। প্রথম যে রেমিটেন্সের উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত সেটাও বাংলাদেশ থেকে নেয়া রেমিটেন্সের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, তাহলে বোঝেন কত ভারতীয় নাগরিক আমাদের এখানে কাজ করছে। এরা সবাই উচ্চ পদে কাজ করে। তারা তাদের আশেপাশে প্রভাব বলয় তৈরি করে। আমাদের আরবান এলিটেরা কি এই কারণেই সবসময় গণবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছে? ভাবনার অবকাশ আছে। এই টাকাটা বাংলাদেশে রাখা গেলে আমাদের ইকোনমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো ভাবুন।
এ বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমের কাছে বলেন, যেখানে বাংলাদেশের চাকরিপ্রার্থী যুবকরা বেকার থাকছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নেমেও লাঠিপেটার শিকার হচ্ছেন, সেখানে বেসরকারি চাকরি ভারতীয়রা দখল করে নিলে অমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকরা যাবে কোথায়?
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চাকরিতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ প্রসঙ্গে এর আগেও গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, টেলিভিশন টক শোতেও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। তারা অনেকে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন এনজিও, গার্মেন্টস ব্যবসা, টেক্সটাইল ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজে নিযুক্ত হয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশ ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে।
বিশ্বব্যাংকের ২০১২ সালের রেমিট্যান্স তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়েছে।
এ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল তখন ভারতের জন্য পঞ্চম বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস। আর বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স নেয়ার তালিকা ভারতের অবস্থান হচ্ছে এক নম্বরে।
সর্বশেষ হিসেবে বলা হচ্ছে, গতবছর ১০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগে বাংলাদেশ ভারতীয়দের জন্য চতুর্থ বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে অবৈধ পথে পাঠানো অর্থের হিসাব এর চেয়ে আরও বেশি বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।