মোঃ মাজহারুল ইসলাম শিপলু, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করলো স্বামী। শুক্রবার আনুমানিক ভোরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্দব্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ঝলমল রানী (৩২)। এ ঘটনার পর থেকে খুনী স্বামী পলাতক রয়েছেন। খুনী প্রাণ কৃষ্ণ গোড়াই নাসির গ্যাস কোম্পানিতে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করত বলে জানা গেছে। এই দম্পতির দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল নিহতের বোন স্বপ্না ও তার স্বামী রনজিৎ বর্মণের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, ঐ ইউনিয়নের একটি বাড়িতে এই দম্পতি ভাড়া থাকতো, তাদের সঙ্গে নিহত ঝলমল রানীর বোন স্বপ্না রানী ও তার স্বামী রণজিৎ বর্মণও থাকতো। মাঝে মাঝেই স্বপ্না ও তার স্বামী রনজিৎ বর্মণের মধ্যে ঝগড়া হতো গতকালও হয়েছিল তবে তখন হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু সকাল বেলা স্বপ্না রাণী ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার স্বামী ঘরে নেই, বোনের রুমের দরজাও খোলা ও বিছানায় বোনের গলাকাটা দেহ।
খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের বোন স্বপ্না জানায়, তার স্বামীর প্ররোচণা ও সহযোগিতায় তার বোন জামাই এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। এর আগেও আমার দুলাভাই খুন করবে এমন হুমকিও দিয়েছে সুযোগ পেয়েই এ নির্মম হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। আমি তার উপর্যুক্ত শাস্তি চাই।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যায় স্বামী প্রাণ কৃষ্ণ । পরে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রণজিৎ বর্মণকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত। ঘটনার মূল হোতা নিহতের স্বামী প্রাণ কৃষ্ণকে আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।