টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা ইউনিয়নের সচিব আ: বারী শোভা ও উদ্যেগত্তা কাবেল হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়া ও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল সহ সরকারী বিভিন্ন কাজে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ রয়েছে বলে গোপন সূত্রে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের সচিব আ: বারী ওরফে শোভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ বজলু প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সুযোগ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দূর্নীতি করতে থাকেন সচিব আ: বারী ও উদ্যেগত্তা কাবেল হোসেন।
ইউনিয়নের দরিচন্দ্রবাড়ী ফুলমতি বেগম, কোহিনুর, ছালেহা বেওয়া ও প্যারিআটা গ্রামের অজুফা বেওয়া সাহেরা বানুর কাছ থেকে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা করে নিয়েছে সচিব আ: বারী শোভা ও উদ্যেগতা কাবেল হোসেনে বয়স্ক ভাতার কার্ড দিবে বলে এখন পর্যন্তও তাদের কে কার্ড করে দেয়নি ভোক্তভূগীরা তারা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে এবং কী তাদের শাস্তি দাবী করছেন।
এ ভাবে বিভিন্ন গ্রামের অনেক লোকের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা,বিধাব ভাতা, সহ বিভিন্ন কাজ করে দিবো বলে টাকা নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন। এবং কী চেয়ারম্যান আরিফ বজলুর অসুস্থতার সুযোগে আ: বারী ও উদ্যেগতা কাবেল হোসেন সোলার প্যানেল টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন নামে বে-নামে উত্তোলন করেছেন একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উদ্যেগত্তা কাবেল হোসেনের বাড়ী ধনবাড়ী পৌরসভার এলাকায়। কাবেল হোসেন তিনি পাইস্কা ইউনিয়নের উদ্যেগতা থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোলার প্যানেল তার বাড়ীতে লাগিয়েছে।
পাইস্কা ইউনিয়নের সচিব আ: বারী শোভা তার বাড়ী পাইস্কা ইউনিয়নের টাউরিয়া গ্রামে হওয়ায় তার ভাই সুরুজ সহ আরেক ভাইয়ের নাম দিয়ে তিনটি সোলার উত্তোলন করে শোভার ঘরের চালে লাগিয়েছেন।
পাইস্কা ইউনিয়নের এক ৬৩ উর্দ্ধ বয়স্ক মহিলা না প্রকাশ না করার শর্তে জানায় , বাবা আমি গরীব মানুষ ভিক্ষা করে খাই আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড কইরা দিব কইয়া ৫ হাজার টাকা নিছে । এহন পর্যন্ত কার্ড দেই নাই । কিছু কইলে বলে করইরা দিবো সরকার থিকা আইয়া সারে নাই। টাহ্যা ফিরাইয়া চাইলে ভয়ভীতি দেইায়। গরীব মানুষ বাবা আমি, আমি যে কইলাম এইড্যা জানলে আমারে মাইরা ফালাবো গো বাবা। এইড্যা যানি কেউ না যানে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাইস্কা ইউনিয়নের কয়েক রাজনৈতিক ব্যাক্তি সহ সচেতন মহল জানায়, চেয়ারম্যান আরিফ বজলু অসুস্থ থাকায় পরিষদের বিভিন্ন কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে রয়েছে। শুধু সোলার প্যানেল, বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা নয় সকল উন্নয়ন মূলক কাজেই অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের ইউনিয়নে যে অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি করছে আমরা তাদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দাবী করছি।
আ: বারী শোভা সচিবের ভাই টাউরিয়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার সাথে সোলার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে আমার ভাই শোভা সেক্রেটারী আমার নামে সোলার দিছে ১৫ হাজার টাকাও নিছে। তবে তৃপ্তি পাইছি যে টাকা দিছি জিনিস পাইছি। এবলে তিনি আর কোন কথা বলেনি।
পাইস্কা ইউনিয়নের উদ্যেগত্তা কাবেল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে পাওয়া না গেলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে এবিষয়ে কাবেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করি এ হিসেবে নিয়েছি। আর চেয়ারম্যান সাহেব অসুস্থ তাই পরিষদের সকল কার্যক্রম আমি আর সচিব দুজনেই মিলে করছি।
পাইস্কা ইউনিয়নের সচিব আ: বারী শোভার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন। সুযোগ আছে তাই ভাইয়ের নামে সোলার দিছি। বুঝেন না নিজের এলাকায় ভাই চাকরি করবার গেলে মানুষে বিরোধিতা করে। এছাড়া তিনি আর কোন মন্তব্য না করে এই প্রতিবেদককে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ দিতে চায় বলে যাতে সংবাদ না করা হয়। এবং কী তিনি বলেন ভাই সংবাদ প্রকাশ হইলে আমার চাকরি চলে যাবে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। অনেক ঝামেলা পড়তে হবে। তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ বজলু জানান, আমি অসুস্থ থাকার সুযোগে পরিষদে ঠিকমত আসতে পারিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম তখন অনেক দুর্নীতি হয়েছে আমি পরে জানতে পেরেছি। উদ্যেগতা কাবেল হোসেনের সোলার প্যানেলের ব্যাপারে চেয়ারম্যান আরিফ বজলু জানান, আমি অসুস্থ ছিলাম আমার অজান্তে গোপনে আমার ইউনিয়নের সোলার প্যানেল নিয়ে কাবেল তার বাড়ী পৌরসভা এলাকায় লাগিয়েছে।