জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
অঘোষিত অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দিনেও টাঙ্গাইল থেকে কোন রুটে বাস চলাচল করেনি। এ কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ছিল পুরোটাই ফাঁকা। শনিবার দুপুরে মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায় দুই-একটি ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।
শহরের নতুন বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ যাত্রীরা বাস না থাকায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বাস না থাকায় বা সিএনজি বা অটোরিক্সায় ঠাই না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার নামদার কুমুল্লি গ্রামের অটোচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, অভাব অনটনের সংসারের চাহিদা মেটাতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। এতে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তেমনি আমরাও আতঙ্কের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে আশানুরুপ রোজগার করতে পারছিনা।
নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় শহরের দেওলা এলাকার ঠিকাদার আব্দুল জলিলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, শনিবার আমার জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার কথা। বাসস্ট্যান্ডে এসে অনেক চেষ্টা করেও ঢাকা যেতে না পেরে বাসায় ফিরে যাচ্ছি। এই অঘোষিত অবরোধের কারনে এখন বিপাকে পড়েছে আমার মতো অনেক সাধারণ মানুষ।
টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান তাবিব জানান, ফেডারেশনের নির্দেশে এবং চালক ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাস চলাচল আবার স্বাভাবিক হবে।