জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
সারাদেশে চলমান আন্দোলন নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে রোববারেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক অবরোধ করেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিট হতে ১ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের নগর জালফৈ বাইপাস এলাকায় অবস্থান নেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে আসে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন গাড়ির রেজিষ্ট্রেশনের কাগজ, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ও ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেয় তারা।
আন্দোলনরত বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. সাজিদ খান বলেন, আমাদের অধিকার নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। আমরা নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি গুলো মেনে নেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমন মিয়া বলেন, আইন সবার জন্য সমান হলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করা হয় না। প্রভাবশালীদের গুরত্ব দেওয়া হয়। বড় বড় রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন থাকে না। তাদের প্রতি আইনের নজর রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, লাইসেন্স বিহীন চালকরা রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। আমি প্রতিটি চালককে ট্রেনিং এর মাধ্যমে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করছি।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন আমাদের আন্দোলনের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও শনিবার কেন শিক্ষার্থীর উপর হামলা করা হলো। নেতারা আন্দোলনকে গুজব বলছে। যদি এই বিষয়টা গুজব হয় তাহলে ফোরজি নেটওয়ার্ক কেন টুজি করা হয়েছে। আবার শনিবার রাত থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মমিন বলেন, আন্দোলনের সময় কয়েকটা গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন কার্ড, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেছি। যাদের এগুলো নেই তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র করার জন্য অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আহাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলো। প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ শেষে যার যার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা চলে যায়।