ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি-
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর যদুনাথপুর ইউনিয়নের নতুনবাজার নেটামশারা এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নকল খুঁটির কারখানায় রমরমা বাণিজ্য করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে মালিক পক্ষরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দু’পাশেই গড়ে উঠেছে প্রাশাসনিক নীতিমালার আইন অমান্য করে খুঁটি তৈরীর কারখানা। কারখানায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে খুঁটি তৈরীর ধুম। এতে করে পরিবেশের উপর মারাত্মকভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে দায়িছে বলেন স্খানীরা জানান। রাস্তার এক পাশ থেকে ঐ পাশে খুঁটি আনা নেয়া করা হয় এতে করে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। সিমেন্ট,বালি, আর জিআই তার(গুনা) দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে খুঁটি।
বগুড়ার সীল ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, জামালপুর,শেরপুর,ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে নামধারী ধনবাড়ীর নতুনবাজরের তৈরী খুঁটি । নতুন বাজার এলাকায় মাছুদ রানার গ.ঝঞঅজ বগুড়া,তাজ পিলার বগুড়া, ও আ: বাছেদ এর নামে ঙএ.ঞ বগুড়া,মোমিন পিলার বগুড়া, করিমের শাকিল পিলার বগুড়া,রায়হান পিলার বগুড়া, আইয়ুব আলী’র মা পিলার,বাগবাড়ী,বগুড়া সহ আরো অনেক কারখানায় বগুড়ার নাম ব্যবহার করে সাধারণ গ্রাহকদের প্রতারণার শিকার করছে।
কারখানায় নেই তাদের কোন পরিবেশ । অনেক মালিকের কাছে কারখানার ট্রেড লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা মোটা অংকের ঘুষ দিতে চায় এবং কী সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তবে আর কোন বিষয়ে কথা বলেননি কেউ।
খুঁটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বগুড়ার খুঁটির চাহিদা বেশী তাই আমরা সকল ব্যবসায়ীরা বগুড়ার সীলটা ব্যবহার করি। এই বলে তিনি সাংবাদিকদের কে মোটা অংকের ঘুষ দেয়ার কথা বলে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
স্থানীয় হোসেন আলী, সোহরাব হোসেন,আজগর আলী, মিজানুর সহ স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি সময় সংবাদ কে জানায়, কিছু দিন আগে এই জামালপুর-টাঙ্গাইল সড়কের উপর কারখানার ইটের খোয়া,বালু রাখে এজন্য একটি স্কুল ছাত্রী সড়ক দূর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে গেছে। তাই আমরা এদের বিরোদ্ধে নকল খুটির করখানা বন্ধের জন্য প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের জোর হস্তক্ষেপ কমনা করছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুঁটি তৈরীর কারখানার কয়েক শ্রমিক সময় সংবাদ কে জানায়, কারখানার সামনে যে খুঁটি গুলো রয়েছে সেখানে শুধু মোমিন পিলার নামে সীল দেওয়া কিন্তু এই খুঁটি গুলোর উপর যখন পাইকারদের কাছে বিক্রি করে গাড়ী বোছাই দিবে তখন মোমিন পিলার নামের পাশে শুধু বগুড়া শব্দের লেখাটা সীল দিবে। এই কাজ করার অর্থ হচ্ছে যাতে আইনের কোন লোক সহজে ধরতে না পারে। আর ভিতরে তো সহজে কোন লোক ঢুকতে পারে না।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, এই নকল সীলের তৈরী খুঁটি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে প্রতারণার শিকার করছে মালিকরা । এই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।