মির্জাপুরে ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ০২, ২০১৮

মির্জাপুরে ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
ভোগান্তি আর ঝুঁকি, দক্ষিণাঞ্চলবাসীর নিত্য সঙ্গি। ভোগান্তির সেই নাম মির্জাপুর পৌরসভার কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর খেয়া ঘাট। সেতু না থাকায় প্রায় ২০ টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মির্জাপুর পৌর শহরের কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদী। এই নদীই মির্জাপুর পৌরসভাকে দুই ভাগ করেছে। এই ঘাট পার হয়েই প্রতিদিন মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের চলাফেরা করে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। নদী ভাঙ্গন রোধে ঘাটের উত্তর পাশে নদীর পাড়ে বøক বসানো হয়েছে। এখান দিয়ে উঠানামা করতেও প্রতিদিন ঘটে থাকে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। খেয়া পারাপারে একদিকে সময় লাগছে বেশি অপরদিকে লাগছে বাড়তি টাকা।
মির্জাপুর পৌরসভার মির্জাপুর, সরিষাদাইড়ের আংশিক এবং উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সরিষাদাইড়, ভাওড়া, কেশবপুর, ফতেপুর, পাইখার, চামুটিয়া, জালশুকা, চানপুর, আড়াইপাড়া, মারিশন, কামারপাড়া, হাড়িয়া, ছোট গবড়া, বড় গবড়া, আমরাইল তেলিপাড়া সহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে উপজেলা সদরে, হাসপাতালে এবং শত শত শিক্ষার্থী উপজেলা সদরের এসকে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে। 

সরিষাদাইড় গ্রামের এডভোকেট সাহেদ আনোয়ার বলেন কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর ঘাটে মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। ওখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী।

মির্জাপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান বলেন জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য ওই স্থানে পাকা ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া দরকার।

ভাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন দক্ষিণ অঞ্চলের অবহেলিত জনপথ মির্জাপুর কামাড়পাড়া সড়ক। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে দূর্ভোগ লাঘব হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here