বেনাপোল থেকে জসিম উদ্দিন- শার্শার শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের নারিকেল গাছে ডাব পাড়তে উঠে গাছ থেকে পড়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে ইয়ামিন (১৩) নামে এক জেএসসি পরীক্ষার্থী। সে উপজেলার টেংরা গ্রামের ইয়ানুর রহমানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামতলা ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, যশোরের শার্শার জামতলা ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোস্তফা সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেণীর ছাত্র জেএসসি পরীক্ষার্থী ইয়ামিনকে ডাব পাড়ার নির্দেশ দিয়ে স্কুলের নারিকেল গাছে তুলে দেয়। শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী ইয়ামিন ডাব পাড়তে গাছে উঠলে গাছের উপর থেকে পড়ে যায়। এসময় ইয়ামিনের হাত ভেঙ্গে যায় ও মাথায় মারাত্বক ভাবে আঘাত লাগে।
স্থানীয়রা মূমূর্ষ অবস্থায় ইয়ামিনকে উদ্ধার করে বাগআঁচড়া বাজারের ডাঃ হাবিবুর রহমান হাবিবের মালিকানাধীন জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনিত হলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে জামতলা ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হবিবর রহমান বলেন, ছেলেটির অবস্থা আশংকজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। গাছ থেকে পড়ে ছেলেটির মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত লেগেছে ও রক্তক্ষরন হচ্ছে। সে একাধিকবার বমিও করেছে। ছাত্ররা স্কুলে আসে লেখা পড়া শিখতে গাছে উঠতে না। যে শিক্ষক তাকে গাছে তুলে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।