সরিষাবাড়ীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলা সংঘর্ষে আহত-৩০ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

বুধবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৮

সরিষাবাড়ীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলা সংঘর্ষে আহত-৩০

জাহিদ হাসান, সরিষাবাড়ী, (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। ১৬ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের সয়া ব্রীজপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। এ সময় তিনজনের অবস্থা গুরুতর দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের ফুটবল একাদশ ও পার্শবর্তী ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদি ইউনিয়নের সয়া গ্রামের ফুটবল একাদশ এক প্রীতি ফুটবল খেলার অংশ নেয়। এ সময় হার জিত বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে ১৬ অক্টোবর দুপুরে পঞ্চাশী গ্রামের কৃষক আফজাল সয়া বাজারে জৈব সার কিনতে যায়। তাকে দেখে ওই সয়া গ্রামের লোকজন আফজালকে ধরে মারপিট করে সয়া ব্রীজের উপরে ফেলে রাখে। এ ঘটনা জানা জানি হলে পঞ্চাশী ও সয়া গ্রামের মাঝে এক সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই গ্রামে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন আওনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লুৎফর মিয়া, আফজাল, রাব্বি, কালু মিয়া, হায়দর আলী, রহিমা বেগম, ওয়ারেছ আলী, রাইহান, নুরুল ইসলাম, ফরিদা বেগম, আবেদ আলী, মোয়াজ্জেম হোসেন, ফরিদ মিয়া, রতন, মফিজ উদ্দিন, রওশনারা বেগম, কামরুল ইসলাম, আজম মিয়া, রতন মিয়া, শাকিল, দিপু, শাকিল মিয়া ও স্বপন মিয়া। এদের মাঝে আফজাল, রাব্বি ও ওয়ারেছের অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

হাসপাতালে ভর্তি কালু মিয়া ও রহিমা বেগম জানান, আজ (১৬ অক্টোবর) সাংসারিক কাজ করতে ছিলাম। এ সময় সয়া গ্রামের শতাধিক লোকজন লাঠি সটা নিয়ে আমাদের পঞ্চাশী গ্রামে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এ সময় বাধা দিলে নারী ও শিশুদের উপরও হামলা করে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয় নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে।