NEWS/SPORTS
‘রোমান সানা কেন প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাইল না বা ক্রিকেটারদের মতো গাড়ি বাড়ি পাইল না, তা নিয়ে আমার ফ্রেন্ডলিস্টের প্রায় সকল সাংবাদিকই সরব। ভাই, আপনারা নিজেরাই বলেন তো এ দায়টা কার উপর বর্তায়?’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এভাবেই স্ট্যাটাস লিখেছেন সাফ গেমস ও কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার শারমিন আক্তার রত্না।
মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া নিজের পোস্টে ক্রীড়াঙ্গনে বৈষম্যের জন্য সাংবাদিকদেরই দায়ী করেন এই তারকা। বিশেষ করে ক্রিকেট সাংবাদিকতাকে ধুয়ে দিয়েছেন ২০১০ এসএ গেমস ও কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ে সোনাজয়ী এই শ্যুটার।
আরো পড়ুন<<>>আফিফ-মিরাজরা গাড়ি-বাড়ি পায়, আমরা পাই ফুল: রোমান
এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে (স্টেজ-৩) রোমান সানা স্বর্ণ পদক জেতার পর তেমন অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা পাননি বলে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ক্ষেত্রে ‘সিজনাল সাংবাদিকতা’ বাদ দিতেও অনুরোধ করেছেন রত্না।
মাগুরার মেয়ে রত্না নিজের পোস্টে লিখেন, ‘প্রতিটা চ্যানেলে শুধুমাত্র ক্রিকেট কাভার করার জন্য আলাদা রিপোর্টার আছে, প্রিন্ট মিডিয়াতেও একই নিয়ম বর্তায়। প্রতিদিন ক্রিকেটের নিউজ করা আপনাদের জন্য বাধ্যতামূলক। নিউজ থাকুক বা না থাকুন আপনারা নিয়ম করে মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুঁ মারেন নিউজের জন্য!’
‘১০ মিনিট স্পোর্টস নিউজের জন্য বরাদ্দ থাকলে ৭ মিনিট চালান ক্রিকেট নিউজ। দুই পাতা খেলার খবরে দেড় পাতা জুড়ে ক্রিকেট, বাকি অংশ ইউরোপিয়ান ফুটবল আর একটা কলাম বরাদ্দ থাকে অন্যান্য ইভেন্টের জন্য।’
সাফল্যের বিচারে ক্রিকেটের চেয়ে অন্য খেলাগুলোতে অনেক এগিয়ে দাবি করে রত্না লিখেন, ‘সাকিব আল হাসানের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হওয়া, আর নারী এশিয়া কাপ জেতা ছাড়া ক্রিকেটের আর কী এমন সাফল্য আছে যা রোমান সানা, বা সিদ্দিক ভাই, বা আব্দুল্লাহ হেল বাকির অর্জনের প্রায় সমতুল্য?’
‘তারপরও আপনারা নিউজ করেন, কোন ক্রিকেটার বাবা হতে চলেছে, কে পেটের পীড়ায় হাসপাতালে, কার মেয়ে কবে প্রথম আম খেলো ইত্যাদি ইত্যাদি!’
আমাদের দুঃখ আমাদের কাছেই থাকতে দিন উল্লেখ করে রত্না লেখেন, ‘ভাই, আমরা যারা এ্যাথলিট, ক্রিকেটার না, তাদের আক্ষেপটা, তাদের কাছেই থাকতে দিন না।! সিজনাল সহানুভূতি না দেখিয়ে আপনারা বরং আবার প্রস্তুতি নিন নেক্সট ক্রিকেট ম্যাচ কেমন করবে বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা, তার আগে কে নেট প্র্যাকটিসে কয়টা ছক্কা হাঁকাল, কেন ম্যাচ ডে তে ডাক মারল, ১০ জন আন্ডার ১০ স্কোর করে একজনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতে বীরের মর্যাদা পাওয়া বা সরকার প্রদত্ত গাড়ি বাড়িসহ এক নম্বর নাগরিকের মর্যাদা পাওয়ার পর অভিনন্দন বার্তা লেখার জন্য কী কী বিশেষণ প্রয়োগ করা যায় সেইটা নিয়ে ভাবুন, আর লেখুন।’