জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল//
শ্রাবন মাসের জগন্নাথ দেবের উৎসবের দিন থেকেই প্রতিমা বানানোর কাজে হাত দেন কারিগররা। মনসা পুজার পর থেকে মূল প্রতিমায় মাটির প্রলেপের কাজ করেন টাঙ্গাইলের শিল্পীরা। ইতোমধ্যে দেবীর প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে সর্বশেষ মাটির প্রলেপের কাজ। যাকে বলা হয় দো'মাটি করা। এরপর শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ও রং তুলির আঁচরে ফুটিয়ে তুলবেন প্রতিমার দৃষ্টিনন্দিত রুপ।
পঞ্জিকা মতে, ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা বেজে উঠবে। ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ ষষ্ঠী পুজা। ওই দিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাসার বাজনার শব্দ। ৫ অক্টোবর সপ্তমী পুজা, ৬ অক্টোবর অষ্টমি পুজা, ৭ অক্টোবর নবমী, ৮ অক্টোবর দশমী বিহীত পুজা ও দশহারার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপি পুজার সমাপ্তি হবে।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারিগররা।মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের সাথে সাথে চলছে লোক সমাগোমের জন্য সুদৃশ্য ফটক ও প্যান্ডেল নির্মাণ। সদর উপজেলার করটিয়ার পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক মলয় পাল ও মাদারজানী পুজা উযযাপন কমিটির সম্পাদক পল্লাদ ও মন্টু ঘোষ বলেন, শারদীয় দূর্গাপুজায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্ডপ এলাকায় চৌকিদার ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, মন্দির কমিটি এবং স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হবে। পুজা মন্ডপে নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা নজরদারী থাকবে এবং পুজা নির্বিঘেœ পালন করতে পুলিশ প্রশাসন পুজারিদের সব রকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার দাস বলেন, গত বছর পুজা মন্ডপ ছিল ১১৯৫ টি এবার কতগুলো হবে এখনো সঠিক তথ্য প্রশাসন দিতে পারে নাই তবে আশা করছি এবার আরো অধিকতর হবে।।সেই সাথে তিনি (৩)তিন দিনের সরকারী ছুঁটির দাবী সহ নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগীতার দাবী জানান।