টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
টাংগাইলের মধুপুরের হলুদিয়া গ্রামের মৃত নওয়াব আলীর ছেলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন দূর্নীতি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। সম্প্রতি দূর্নীতির দায়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করে।স্থানীয়রা বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন ’১৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদানের পর হতে দুর্নীতি করে কয়েক কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। তার নিজ গ্রাম হলুদিয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ী নির্মাণ করেছেন। এছাড়া গোপালপুরে বিশাল অট্টালিকাসম বাসা সহ এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন আপন ভাতিজা, টাঙ্গাইলের মধুপুরের আ. হামিদ এর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২১), (ডিটিও) নাসির উদ্দিন এর বড় ভাই রহুল আমিন এর ছেলে সুলাইমান হোসেন বাবু, সাইফুল ইসলাম টুটুল সহ বেশ কিছু লোকজনকে গেইটকিপার/সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর তাদের নিকট হতে আবারও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন দ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নন গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮৫ এর ১৬৩ ধারা অনুযায়ী (ফিডার পদে) নিয়োগ না মেনে নিজের উ”চক্ষমতা বলে পদোন্নতি পরীক্ষার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন এর নামে/তার আত্বীয় স্বজনের নামে রয়েছে মধুপুরে অনেক সম্পদ যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আর তিনি হলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে গেইটকিপার পদে যোগ দিয়ে বেতন পাওয়ার আগেই সাতজনকে পদোন্নতি দেওয়া হ”েছ। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে রেলের নিয়োগ বিধিমালা না মেনে তাদের পদোন্নতি দেওয়ার আয়োজনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পয়েন্টসম্যান পদে ৭ জনের পদোন্নতি পরীক্ষার আয়োজন করে। অথচ দ্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নন গেজেটেড কর্মচারী পদে নিয়োগ পাওয়ার পর কমপক্ষে ৩ বছর চাকরি করতে হবে। তবেই পদোন্নতি দেয়া যাবে।
জানা গেছে, নানা অনিয়মের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। আগামী রোববার লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পে যোগ দেবেন তিনি। তার আগেই তোড়জোড় করে অবৈধভাবে এ পদোন্নতির আয়োজন করা হয়েছে। যে ৭ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হ”েছ তারা যোগদান করেছেন মাত্র এক মাস আগে। তারা এখনো বেতনও পাননি। এমনকি তাদের এসআর (সার্ভিস রেকর্ডও) সৃষ্টি হয়নি। কিš‘ এরপরও আইন অমান্য করে তাদের পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে।
এসব অপকর্ম করে তিনি স্বল্প সময়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করলে তার অপকর্মের বিশাল ফিরিস্তি বেরিয়ে আসবে।