নিউজ ডেস্ক-
ফরিদপুর জিলা স্কুলের খেলার মাঠে শিক্ষকসহ সাত শিক্ষার্থীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জিলা স্কুলের মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।হামলায় আহতরা হলেন- নগরকান্দা উপজেলার এম এন অ্যাকাডেমির ক্রীড়া বিষয়ক শিক্ষক আবু ইউনুস মিয়া (৩৯)। শিক্ষার্থীরা হলো- পারভেজ, আরাফাত, নাদিম, সাহেব, আল হামজা ও বিধান। এরা সকলে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের সদস্য।
ফরিদপুরের জিলা স্কুলের মাঠে ‘৪৮তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’-এর উপজেলা পর্যায়ের খেলা চলছে। গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওই মাঠে নগরকান্দা ও ফরিদপুর সদরের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। নগরকান্দার এম এন অ্যাকাডেমির কাছে ফরিদপুর সদরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল দল ১-০ গোলে হেরে যায়।
রবিবার নগরকান্দার সঙ্গে সদরপুর উপজেলার খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এ খেলা শুরু হওয়ার আগে বেলা ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরকান্দা ফুটবল দলের সদস্যরা তখন মাঠের পূর্বপাশে পোশাক পরিবর্তন করে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। এ সময় রামদা, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে নগরকান্দার ফুটবলের দলের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় নগরকান্দা দলের ক্রীড়া শিক্ষক ও ছয়জন শিক্ষার্থী খেলোয়াড় আহত হয়।
আহতদের দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিক্ষকসহ আহত শিক্ষার্থীরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নগরকান্দা উপজেলার এম এন অ্যাকাডেমির ক্রীড়া বিষয়ক শিক্ষক আবু ইউনুস মিয়া বলেন, শনিবার নগরকান্দার কাছে হেরে যায় ফরিদপুর সদরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। এই হার মানতে না পেরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হামলা করেছে।
ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানান, যে সময়ে খেলার মাঠে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠদানে ব্যস্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, তার বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী এ হামলার সঙ্গে যদি জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ইতোমধ্যে হামলাকারী হিসেবে ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে সে তালিকা পাঠিয়ে তাদের বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পাইপের মাথায় চাইনিজ কুড়াল বাঁধা অবস্থায় একটি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
সুত্র:অধিকার নিউজ