NEWS//ISLAM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী শিক্ষায় এমএ পাসের স্বীকৃতি দিয়ে আলেমদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডর চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া সোনারগাঁ শাখার আঞ্চলিক পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও ইসলামী মহা-সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বারদী বাজার মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এ অনুষ্ঠানে আল্লামা শফী বলেন, ‘খালেদা জিয়া (কওমী) সনদের মান দেন নাই। এজন্য তিনি এখন আফসোস করতেছেন। এটা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি আলেমদেরকে অনেক সম্মানিত করেছেন।’
‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদেরকে এমএ পাসের সমতুল্য ডিগ্রি দিয়েছেন। এটা আর কেউ দেয় নাই। এত বছর ধরে বড় বড় আলেমরা এটি চেয়েছিলেন। কিন্তু কারও আমলেই এটির স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা এ স্বীকৃতি দিয়ে আলেমদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন’ যোগ করেন আল্লামা শফী।
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাবলিগ জামাতের জন্য অনেক জায়গা-জমি দিয়েছেন। ওনার মেয়ে শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমএ পাসের মর্যাদা দিয়েছেন যা দুনিয়াতে এখনো কেউ দেয় নাই।’
সোনারগাঁবাসীকে উদ্দেশ করে হেফাজতের আমির বলেন, ‘আপনারা অনেক ভাগ্যবান কারণ এ সোনারগাঁ থেকে এক সময় এলমে হাদিসের চর্চা শুরু হয়েছিল। আমার অনুরোধ- সোনারগাঁয়ের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের পরিবার থেকে অন্তত একটি ছেলেকে আলেম, মুফতি বানাবেন।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ হাশরের মাঠে কার সঙ্গে একত্রিত হবেন এ প্রসঙ্গে আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন- যে যাকে বেশি মহব্বত করে, তার সঙ্গেই হাশর-নশর হবে। আপনারা যদি আলেমদের মহব্বত করেন তাহলে আলেমদের সঙ্গেই আপনাদের হাশর হবে।’
আল্লামা শফী বলেন, ‘আমার বয়স এখন ১০১ বছর। আমি বেশি কথা বলতে পারি না। আজ আপনারা কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য এ অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছেন। আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।’
আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আবদুল কাদের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ প্রমুখ।