NEWS DESK//
বিদেশি ওষুধের নামে নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছিল ‘অ্যারিস্টোক্রাট কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বিদেশ থেকে ‘খোলা ওষুধ’ এনে তা বোতলে ভরে লেভেলিং করত প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো নতুন করে মেয়াদ বসিয়ে বাজারে ছাড়ছিল। প্রতিষ্ঠানটির এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রিতে সহযোগিতা করছিলেন কিছু অসাধু চিকিৎসক। যারা প্রতিমাসে এখান থেকে কমিশন পেতেন।
র্যাবের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং এমডিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখান থেকে জব্দ করা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ ও কসমেটিকস।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর হাতিরপুলে ওই ওষুধ কোম্পানির কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব-২ ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে দেখা গেছে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ওষুধ নকল করা হচ্ছে। এখানেই তৈরি করে সেগুলো প্যাকেটিং করা হচ্ছিল। সেসব ওষুধ বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের বলে বাজারে ছাড়া হয়। ক্রেতা বা রোগীরা এসব ওষুধ কিনে খেলেও তা কোনো কাজে আসছিল না। আমরা বেশ কয়েকটি ফার্মেসি এবং চিকিৎসকের নাম পেয়েছি। যারা তাদের এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রিতে সাহায্য করছিল।’