সময় সংবাদ ডেস্ক-
উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: নেই সনদ তবুও লেখেন ডাক্তার, দেন জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা। এমনি অহরহ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন বেলকুচির কথিত ডাঃ সোলায়মান হোসেন। যার চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ পড়ছে বিপাকে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচির প্রাণ কেন্দ্রে মুকুন্দগাঁতী বাজারের জনতা ব্যাংকের নিচে অবস্থিত সালমা ক্লিনিক । তিনি বেলকুচিতে প্রায় ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে সনদ ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নেই কোন সাইন বোর্ড দেখে বোঝার উপায় নেই এটা কোনো ক্লিনিক। পাইলস মলদ্বারে,অর্শ,গেজ,রক্তপড়া ইনজেকশনের মাধ্যমে নিরাময় করা হয় এমন বিজ্ঞাপন প্রাচারণ করলেও প্রামাণ মিলেছে তিনি অপারেশনের মত কঠিন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রানন্ধুনী বাড়ীর সাইদুল ইসলাম জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি উনি খুব ভালো ডাক্তার। তাই আমার স্ত্রীকে অর্শের চিকিৎসা করিয়েছি। গতকাল ডাঃ সাহেব অপেরেশন করছেন। আজ এসেছি ডেসিং করবে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগি জানান, মানুষের মুখে শুনেছি উনি এম বি বি এস ডাক্তার। ভালো চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাই অনেক রোগী আসে এখানে। আমিও মাঝে মাঝে এখানে এসে চিকিৎসা নেই।
এদিকে কথিত ডাক্তার নিজের যোগ্যাতার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি ব্যবস্থাপত্রে যে ডাক্তার কথা উল্লেখ করেছি তা ভূল হয়েছে। সবাই ডাক্তার লেখে তাই আমিও লিখেছি। তিনি আরও বলেন, আমি কোন অপেরেশন করি না। আল্লাহর রহমতে আমার হাতযশ ভালো। তাই প্রচুর রোগী আসে আমার কাছে।
অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জন জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিডিএস বা এমবিবিএস ডিগ্রী ছাড়া যদি কেউ নামের পূর্বে ডাঃ লেখেন তাহলে তা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা সালমা ক্লিনিকের বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বিষটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব