সময় সংবাদ ডেস্ক-
তিনি লেখেন, ‘আজ ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডক্টর কোহিনূর বেগম (প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ) এর কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিলাম। প্রথমে একজন সহকারি রোগের কথা শুনে সামারি লিখে নিলেন, খুব ভালো। কিন্তু ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে দেখি, তিনি অন্য রোগী দেখছেন। ডাক্তার এতই ব্যস্ত যে, একজন আয়া এসে আমার কাছে আমার রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আয়াটার কাজ হচ্ছে, রোগের ‘র’ টা শুনবে, আর অমনি রোগীকে শুইয়ে দিয়ে রোগীর কাপড় খুলে নিবে। আমি বললাম, আমার কি করতে হবে না হবে, তা ডাক্তার এসে বলুক, আপনি এমন করছেন কেন? আয়া মহাশয়ার জবাবের টোন শুনে মনে হচ্ছে, তিনি কোন লাট বাহাদুর হবেন। অতঃপর ডাক্তার এসে জানালেন, তার এত সময় নেই আমাকে চেক করার, এসে বসে কথা বলতে বললেন। তিনি যখন কথা বলা শুরু করলেন, তখন মনে হল তার জিহবার সাথে একটা চাকু লাগানো আছে। রোগের কথা যা-ই বলি, তিনি তেলে বেগুনে তেতে উঠছেন।
ক্ষুব্ধ তমা আরও লেখেন, ‘ফ্রি তো দেখাতে যাইনি, সার্ভিস দিতে এত রাগ হয়, টাকাটা নিতে লজ্জা করে না? আমরা জাতি হিসেবে কবে মানুষ হব? সততা অনেক বিশাল ব্যপ্ত একটি বিষয়; শুধু ঘুষ না খাওয়া মানেই যে সততা নয়। যে কাজের জন্য টাকা নিচ্ছি, সেটা ঠিকমতো না করলে যে ঐ টাকা হালাল হয় না, টেবিলের ওপাশে সেবা নিতে আসা মানুষটার সাথে দুরাচরণ করাটা কত বড় পাপ, তা আমরা কবে বুঝতে শিখবো?’
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমা জানান, ধানমন্ডি পপুলার এর ডক্টর কোহিনূর বেগম, গাইনোকোলোজিস্ট। তার চেম্বারে আয়া এসে রোগ জিজ্ঞেস করে, ডাক্তার এর সময় বাঁচানোর জন্য, কি রোগ সেটা ডাক্তার শোনার আগেই আয়া এসে রোগীর কাপড় খুলে নেয়। এটা কেমন কথা? রোগীকে কাপড় খুলতে হবে কিনা, সেটা তো ডাক্তার বলবে তাই না? আর ডাক্তারের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাই তার সময় নেই, মেজাজ খারাপ। অথচ, এক হাজার টাকা ফি টা যখন নিলেন তিনি, তখন লজ্জা করলো না! রোগী হিসেবে তিনি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
গো নিউজ২৪/