সময় সংবাদ ডেস্ক//
রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদের 'ইয়াং ম্যান্স ক্লাবের পর আরো ৩টি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
বুধবার মধ্যরাতে ক্লাবগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার এবং ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে গুলিস্তানের পীর ইয়ামিন মার্কেটের পাশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র থেকে জুয়ার সরঞ্জাম, তিন লাখ টাকা, একটি কষ্টি পাথরের মুর্তি উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৯ জনকে।
এ ছাড়া বনানীর আহমদ টাওয়ারে ‘গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ’ নামে একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযানে গিয়ে ক্যাসিনোটি তালাবন্ধ পাওয়া গেছে। সেটি সিলগালা করা হয়েছে, পরে ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে।
র্যাব সূত্র জানায়, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযানের সময় সেখানে থাকা কয়েকজন পরিচালক পালিয়ে যান। এই ক্লাবের সভাপতি হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কায়সার। ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক ওই ক্লাবে জুয়ার আসর বসানোর সঙ্গে জড়িত।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, অভিযানে ১২টি জুয়ার বোর্ড, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, জাল টাকা ও তাস জব্দ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। তিনি অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা করা হবে।
এর আগে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।