ভোলা সংবাদাতাঃ
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর এবং বাহিরে পূর্বের তুলনায় বেড়েছে দালাল চক্র৷ মুষ্টিময় কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের ছত্রছায়ায় এ দালাল চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ রোগীদের বিপুল পরিমাণের অর্থ৷ মালিক সমিতি গঠন করেছেন দালাল নির্মূল কমিটি৷
গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) চরফ্যাশন উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি সেন্টাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৪র্থ তলার হলরুমে চরফ্যাশনের চিকিৎসা সেবা থেকে দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন৷ সভায় ইয়াছিন আরাফাত কে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়৷
উক্ত জরুরি সভায় চরফ্যাশন উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারি, সাংগঠনিক তিতুমীর মিয়াজি, সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাতে এলাহী, মিলিক ইয়াছিন আরাফাত, শরন মজুমদার সহ প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মালিক উপস্থিত ছিলেন৷
এসময় উপস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণ অভিযোগ করে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা খাতকে মুষ্টিময় গুটিকয়েক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের ছত্রছায়ায় দালাল নিয়োগের মাধ্যমে নষ্ট করা হচ্ছে৷ ওদের অপকর্ম এবং রুগী টানাটানির কারনে আজ আমাদের সকল মালিকের দুর্নাম হচ্ছে৷ এখনি সে সকল নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন৷
লাইফ কেয়ার, রোশন আরা এবং বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক সময়ের দালাল চক্রের প্রধানগণ ভাড়া নিয়ে এখন তাদের দালাল সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করে পুরো চরফ্যাশন কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে৷ দালাল যখন মালিক সাজে তখন তারা মানসম্মানের চিন্তা করে না৷ আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি এবং চিহ্নিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি৷
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, এসকল দালালের কারনে আজ আমরা সম্মান নিয়ে প্রকৃত পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে রুগীদের সেবা দিতে পারছি না৷ সাধারণ মানুষ গড়ে আমাদের কে খারাপ মনে করছে৷ মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি৷ কিন্তু সকলের সিদ্ধান্তে তা কর্যকর হইনি৷
মালিক সমিতির সভাপতি শাজাহান মিয়া জানান, দালাল নির্মূলের জন্য আমাদের গঠন করা দালাল নির্মূল কমিটি আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে এ আবর্জনা মুক্ত সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করবে৷
দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, কোন ডায়াগনস্টিকের কর্মকর্তা কর্মচারী রুগী আনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের বাইরে বা হাসপাতালের নিকট ঘুরাঘুরি করতে পারবেনা এবং কোন প্রকার দালাল নিয়োগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আমরা আপনাদের ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি৷