নিমাই সরকার(আ.লীগ) আলীমুজ্জামান সেলু(বিএনপি) কামরুজ্জামান মিঠু(আ.লীগ বিদ্রোহী)
ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে জমে উঠেছে ৪র্থ ধাপের নগরকান্দা পৌরসভা নির্বাচন। শেষ মূহর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। দিন যতো ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৌরসভায় উৎসবের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। প্রচার প্রচারণায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সকল প্রার্থীরা। তৃতীয় শ্রেনির এই পৌরসভায় ৮হাজার ৬শত ৬৩জন ভোটার তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিবেন ১৪ ফেব্রæয়ারী এমনটাই মনে করছেন সকলে।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন উত্তাপ বাড়ছে। বাড়ছে শংকা। এবারের নির্বাচনে শুধু মেয়র প্রার্থীরাই নয়, কাউন্সিলর প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারনা চলছে। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। এ চিত্রটি হচ্ছে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভার।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের সভাপতি নিমাই সরকার। আর ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে আছেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আলিমুজ্জামান সেলু।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে শক্ত অবস্থান নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন-পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু, সাবেক যুবলীগ নেতা আরিফ আহমেদ বিপ্লব। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসাবে লড়ছেন লন্ডন প্রবাসী মাসুদুর রহমান মাসুদ ও মনিররুজ্জামান তুহিন।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোন বিদ্রোহী নেই। তবে দলের মধ্যে রয়েছে তীব্র গ্রæপিং। ফলে বিএনপির ভোট কোন দিকে যাবে তা বলা মুশকিল।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিমাই সরকার আমার সংবাদকে বলেন, নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনকে নিয়ে অনেকেই নানা প্রশ্নবিদ্ধ করে তুললেও সেটি সঠিক নয়। প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করবে। তিনি বলেন গত কদিন আগে আমার পোষ্টার লাগিয়ে একটি গাড়িতে বিরোধী পক্ষ দেশীয় অস্ত্র রেখে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তবে নগরকান্দার জনগন এতটুকু বোঝে আমি নিমাই সরকার কি ধরনের ব্যক্তি।
এদিকে, বিএনপির প্রার্থী আলিমুজ্জামান সেলু নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি শংকা প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচন গুলোতে যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ভোট কারচুপি করছে তাতে করে এখানে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে কিনা তা দেখার বিষয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো তবে ভোটের দিন কি হবে তা বলা মুশকিল। আমরা চাই নিরপেক্ষ ভোট হোক। সেই ভোটে যে নির্বাচিত হবে তাকেই আমরা মেনে নেবো।
স্বতন্ত্র অপর প্রার্থী কামরুজ্জামান মিঠু বলেন, নগরকান্দা পৌর নির্বাচনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে প্রশাসন দৃষ্টি দেবেন এটাই কামনা করি। জনগন ভোট দিতে পারলে তিনি নির্বাচিত হবেন বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
কথা হয় পৌর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বেশ কিছু ভোটারের সাথে, তাদের ভাষ্য- পৌরসভাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার মধ্য রয়েছে। এখানে উন্নয়ন বলতে তেমন কিছুই হয়নি। পৌর এলাকার উন্নয়ন যিনি করতে পারবেন তাকেই তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
তাছাড়া সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পৌরসভা গঠনে যারা ভূমিকা নেবেন তাদের পাশেই রয়েছেন সাধারন ভোটারেরা। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮ হাজার ৬শ ৩৭ জন। মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।