সময় সংবাদ ডেস্কঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় সালিসে নব দম্পতিকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাতব্বররা। গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ পাওয়া নব দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দেবর ও ভাবি।
স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বেড়াবালা অর্জুনপুর গ্রামের ধল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম কয়েক বছর আগে জীবন জীবিকা নির্বাহ করার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান। রেজাউল প্রবাসে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোছাঃ খায়রুন বেগম প্রতিবেশী দেবর মোঃ মোজাহারের ছেলে অটোচালক আলী আকবর মিল্টনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করার জন্য খায়রুন এক বছর আগে তার প্রথম স্বামী রেজাউলকে ডিভোর্স দেন। পরে প্রতিবেশী দেবর মিল্টনকে গোপনে বিয়ে করেন।
তাদের বিয়ের বিষয়টি তারা দীর্ঘ প্রায় এক বছর গোপন রাখে। অবশেষে গত ২৫ জুন রাতে খায়রুন বেগম প্রতিবেশী দেবর নতুন স্বামী মিল্টনের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে উঠে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় জমায়।
বিষয়টি নিয়ে মাতব্বরেরা শনিবার সকালে এক গ্রাম্য সালিসি বৈঠকে বসে। সালিসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মিল্টন ও খায়রুন সূর্যাস্তের আগেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। কোনোভাবেই তারা মিল্টন কিংবা রেজাউলের বাড়িতে উঠতে পারবে না।
এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুরেই নব দম্পতি গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তবে তারা কোথায় গিয়ে অবস্থান করছে তা জানা যায়নি।
শিবগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আজাদ হোসেন ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন এবং ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সালিসের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সিরাজুল ইসলাম এ বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।