সর্বাত্মক লকডাউনে খোলা শিল্পকারখানা, সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংক - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জুন ২৭, ২০২১

সর্বাত্মক লকডাউনে খোলা শিল্পকারখানা, সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংক



সময় সংবাদ ডেস্কঃ


 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) শুরু হবে। তবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন চলবে। এ সময় বর্তমান নির্দেশনা মেনেই শিল্প কারখানা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা থাকবে শিল্প কারখানা। চালু থাকবে রফতানি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং সেবাও। তবে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কী হবে- তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারও চালু থাকবে।


শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। ১ জুলাই থেকে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।


বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনার প্রথম থেকেই সুশৃঙ্খলভাবে পোশাক কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। বিষয়টি বৈঠকে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া লকডাউনেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্প কারখানা চালু থাকবে।


করোনা সংক্রমণ রোধে গতকাল শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ২৮ জুন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। এ সময় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।


সরকারের এই তথ্য বিবরণীর পর থেকেই কঠোর লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু থাকবে কি না, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারাও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছিলেন না। তারা সরকারকে কারখানা খোলা রাখতে অনুরোধ করেন। সরকার কী নির্দেশনা দেয়, তার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। অবশ্য গত এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যেও শিল্প কারখানা চালু ছিল।


বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, রফতানিমুখী শিল্প কারখানা ও কাভার্ড ভ্যান চালু রাখতে আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অনুরোধ করেছি। কারণ, লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখলে শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেবে। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। আমাদের ৯০ শতাংশ শ্রমিকই গণপরিবহন ব্যবহার করে না, তারা কারখানার আশপাশে থাকে। আবার উৎপাদন বন্ধ থাকলে ক্রয়াদেশ চলে যাবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here