৬ মাস পর ফোন খুলতেই ধরা পড়ল দুই খুনি, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, জুন ৩০, ২০২১

৬ মাস পর ফোন খুলতেই ধরা পড়ল দুই খুনি, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুনিয়াউট এলাকার অটোচালক মো. আসিফ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যার পর লুটে নেয়া নিহতের মুঠোফোন খুলতেই ধরা খেলেন দুই খুনি। এছাড়া বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পিবিআই। এর আগে মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার সোহেল মিয়া ও ইয়াছিন আরাফাত।


গ্রেফতার সোহেল জেলার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার ছেলে ও ইয়াছিন একই উপজেলার মসজিদপাড়ার হীরা মিয়ার ছেলে। নিহত আসিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুনিয়াউট এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর গ্যারেজ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হন আসিফ। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরদিন সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামে রেললাইনে আসিফের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আসিফের মা রাশিদা। পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।


পরে মামলাটি পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন পিবিআইয়ের এসপি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। তদন্তের সময় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৭ জুন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সোহেলকে আখাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।


পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার দিন রাতে সোহেল-ইয়াছিনসহ কয়েকজন মিলে সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশনের কাছে গাঁজা সেবনের জন্য যান। তখন স্টেশনের সামনে আসিফের অটোরিকশাটি দেখতে পান সোহেল ও ইয়াছিন। তারা দুজন আখাউড়া বাইপাস এলাকায় যাওয়ার জন্য আসিফের অটোরিকশায় ওঠেন। কিছু দূর গেলেই তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসিফকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।


তিনি বলেন, অটোরিকশায় ওঠার পর আসিফকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন সোহেল ও ইয়াছিন। ঘটনার ছয় মাস পর আসিফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ব্যবহার শুরু করেন সোহেল।


মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে ২৮ জুন ইয়াছিনকেও গ্রেফতার করা হয়। ইয়াছিনের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here