সময় সংবাদ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রেশনকার্ড করে দেয়ার নামে অভিনব কায়দায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত দেন অভিযুক্ত শ্রাবন্তী আক্তার চম্পা।
সম্প্রতি ওই উপজেলার সুয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ‘হদয়ে আদর্শনগর’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে স্থানীয় আবদুল কাদির নামে এক যুবক পোস্ট দিলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
চম্পা ওই গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে। তার মা মাজেদা আক্তার সুয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেম্বার।
ভুক্তভোগীরা জানান, সুয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ শতাধিক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন চম্পা। রেশনকার্ড করে দেয়ার কথা বলে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিবাবক ও বিভিন্ন ভাতাপ্রাপ্তদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে কৌশলে তাদের নগদ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে নিয়ে নেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর চাপে সেই টাকা ফেরত দেন চম্পা। বর্তমানে তিনি এলাকায় নেই।
সুয়াইর গ্রামের ডলি আক্তার, তাসলিমা আক্তার, ইতি মনি বলেন, রেশনকার্ড করে দেবে বলে চম্পা আমাদের মোবাইল হাতে নিয়ে কৌশলে বাচ্চাদের উপবৃত্তির টাকা তার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়। বিষয়টি প্রথমে কেউ বুঝতে পারিনি। উপবৃত্তির টাকা তুলতে গিয়ে ব্যালেন্স খালি দেখে সবারই টনক নড়ে। পরে সবাই মিলে চাপ দেয়ার পর কয়েক দফায় টাকা ফেরত দেয় সে।
শ্রাবন্তী আক্তার চম্পার বাবা মো. আলম মিয়া বলেন, নিজেদের লোকজনের টাকাই নিয়েছিল। পরে ফেরত দেয়া হয়েছে।
সুয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। শুনেছি টাকা ফেরত দিয়েছে।
মোহনগঞ্জের ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীদের উচিত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা। শাস্তি না হলে এ ধরণের অপরাধ কমানো মুশকিল। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।