সময় সংবাদ ডেস্কঃ
মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) করোনা ইউনিটে। কিছুক্ষণ পরপরই জরুরি বিভাগের সামনে রোগী আসছে অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি অটোরিকশাসহ নানা যানবাহনে।
একটু ভালো চিকিৎসার আশায় শুধু রাজধানী নয়, বাইরের অনেক জেলার গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিয়েও আত্মীয়স্বজন এখানে ছুটে আসছেন। তাদের অনেককেই নিয়ে আসতে হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে। অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থ অনেক রোগী ভর্তি হয়েও হাসপাতালটি ছেড়ে যাচ্ছেন আইসিইউতে সিট না পেয়ে।
শনিবার সরেজমিনে ঢামেকের করোনা ইউনিটে দেখা গেছে এসব চিত্র। গাজীপুর থেকে রহিমা আক্তারকে ঢামেকে ভর্তি করাতে নিয়ে এসেছেন তার রিকশাচালক স্বামী ইদ্রিস মিয়া। নানা অসুস্থতা নিয়ে এর আগে নাসিমা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও করোনা শনাক্ত হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে ঢামেকে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় অন্তত ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি বিভাগে এসেছে করোনার উপসর্গ থাকা বা শনাক্ত হওয়া রোগী নিয়ে। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওয়ার্ডে। আবার অনেক রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে জরুরি বিভাগ পর্যন্ত নিতেই অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল সিলিন্ডার থেকে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনা রোগীদের আইসিইউ সেবা দিতে বেড সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে ঢামেকে। আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়ানো না গেলে সামনের দিনগুলোতে অনেক জটিল রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে আইসিইউতে সিট না পাওয়ায় করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীকেই অন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। মাগুরা থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত সত্তরোর্ধ্ব নাসিমা বেগমকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মিরপুরের একটি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢামেকে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ২০টি আইসিইউর সবগুলো করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে আছে। এছাড়া করোনা ইউনিটের ৭০৫টি সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ২৯৫টি। জুনের ৪ তারিখে করোনা ইউনিটে প্রায় সোয়া চারশ শয্যা খালি ছিল বলে জানায় অধিদপ্তর। এ হাসপাতালে হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলাসহ আইসিইউ সমতুল্য ৯৫টি শয্যা আছে।