সময় সংবাদ ডেস্কঃ
দেশে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আর সংক্রমণ রোধ করতে আগামী সোমবার থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের লকডাউন আগের লকডাউনের মতো হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে দেশজুড়ে অনেক কঠোর বিধি-নিষেধ আসতে পারে।
জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। এছাড়া জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের জন্য যানবাহন চলাচল করতে পারবে। লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে গণমাধ্যম।
তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সবিস্তারে তথ্য মিলছে। যদিও এখনো প্রজ্ঞাপন প্রকাশ পায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘কঠোর লকডাউন’ বলতে যে চিন্তাটি করা হয়েছে সেটা হলো, শুধু জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর থাকবে না। বর্তমানে যে লকডাউন চলছে, সেখানে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। বাজার, শপিংমল খোলা রয়েছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা- সব কিছুই খোলা। বেসরকারি খাতেরও সব কিছুই খোলা।
তবে ওষুধের দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই এগুলো লকডাউনেও খোলা রাখা যাবে। এছাড়া গতবারের মতো মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাইরে বের হওয়া যাবে কি না সে বিষয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এটা বাড়ানো হতে পারে।
তিনি আরো জানান, কঠোর লকডাউন চলাকালে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবে।