ওবায়দুল ইসলাম রবি( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর নতুন রোগীদের মধ্যে ৬০% করোনা রোগী প্রত্যন্ত গ্রামের। বর্তমান গ্রামের পরিস্থিতি ক্রমশয় ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ধারণ ক্ষমতার উর্দ্ধে করোন সংক্রমক রোগী ভর্তি হচ্ছে।
সোমবার রামেক হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা ও সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিং এর মাধ্যমে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করেনা মোাকাবেলয় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারনে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সকলের প্রচেষ্ঠায় এই মহারারি প্রতিহত করা সম্ভব।
ওই সময় পরিচালক বলেন, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ৬ জনের করোনা পজেটিভ ছিল। করোনা রোগীদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী ছিল, অন্যরা করোন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২১ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২১ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২১৬ জন। অপরদিকে, সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’।
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। সেই সঙ্গে করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতালের আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখন অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে। গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসন, আইশৃঙ্খলাবাহিনী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বরত সকলকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সর্বপরি সকলস্থরের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তিদের করোনা মোকাবেলায় সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরকেও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে হবে বলে জানান, রামেক পরিচালক।