ভোলা লালমোহন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জুন ২৬, ২০২১

ভোলা লালমোহন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল



ভোলা সংবাদাতাঃ 

ভোলার লালমোহনে ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বাররা।


আজ বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে এই ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই সময় নয়টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের সাথে ইউনিয়নের কয়েকশ জনতা যুক্ত হন।ঝাড়ু মিছিলে ইউপি সদস্যরা সজোরে বলতে থাকেন মুরাদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে।


ইউপি সদস্যরা মিছিল পরবর্তী সমাবেশে মুরাদ চেয়ারম্যানের গেল ছয় মাসের দূর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন।


তারা বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে জনগণকে বলেছিলাম সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকবো।অথচ এই জলদস্যু, খুনী, সন্ত্রাস ও পুরো ইউনিয়নের মানুষের দুশমন যখন মেম্বার ছিলেন তখন থেকেই দুশমনি করে আসছেন।


গেল ছয় মাসে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে সরকার অনেক প্রণোদনা দিয়েছে।১৮৪০ টাকা করে ১৮০০ নাম এসেছে। যার মধ্যে ইউপি সদস্যদের মধ্যে ৮৮০ নাম দেয়া হয়েছে, তার পুরোটা জনগণের মাঝে বন্টন করে দিয়েছি।


ইউনিয়নে ১৯০০ নামে জেলে নিবন্ধন, টাকা এসেছে ২৫০০ নামে।বাকি ৬০০ নামের চাইল সে বিক্রি করে দিয়েছে।


ইউপি সদস্যরা আরও অভিযোগ করে বলেন, সমুদ্রগামী জেলেদের১১০০ নামে চাউল এসেছে। নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে আছে ২০০, বাকি ৯০০ জেলে নামের চাউল ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে এই জলদস্যু মুরাদ চেয়ারম্যান।


ইউপি সদস্যরা বলেন, গেল ছয় মাসে এই অত্যাচারী চেয়ারম্যান ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।যার ছিটে ফোটাও জনগণ পায়নি।ইউনিয়নে রাস্তা গুলোর বেহাল অবস্থা তার দিকে সে নজর দিচ্ছেনা।এলাকায় সালিশ বিচারের নামে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দুশমন চেয়ারম্যান।


এই বিষয়ে চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বলেন, কিছু ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।মূলত তাদের অবৈধ সুবিধা দেয়নি বিধায় তারা আমার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করছে।

মুরাদ বলেন, আমি জনগণের চেয়ারম্যান, শেখ হাসিনা আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে।


উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এলাকায় অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।পরে নির্যাতিত সেই অসহায় আবুল কালামের পরিবার এই মুরাদ চেয়ারম্যানের অত্যাচারে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এলাকার সাংবাদিকদের কুলাঙ্গার, কুকুর সম্মোধন করে স্ট্যাটাসও দেন তিনি।

Post Top Ad

Responsive Ads Here