সময় সংবাদ ডেস্কঃ
করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ দিলেও রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ ও সবজির দাম বাড়েনি। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আদার দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদের আগে আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম বাড়ে। এরই অংশ হিসেবে এখন আদার দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
এদিকে গত সপ্তাহে দাম বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগি এখন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লাল লেয়ার মুরগির দাম।
রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়।
বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
গত সপ্তাহে দাম বাড়া আলু ও ডিমের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। আর ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দামও। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢ়েঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কাঁচকলা, পেঁপে, কচুর লতি, লাউ ও উস্তের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিন যেভাবে বৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের ধারণা ছিল সবজির দাম বেড়ে যাবে। কিন্তু সবজির দাম বাড়েনি। আগের দামেই সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে।