ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ মৃত্যু ২৫ জনের। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান। তাদের মধ্যে ০৯ জনের করোনা পজেটিভ ছিল, অন্য ১৬ জন মারা যান করোনা উপসর্গ নিয়ে। রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৪০৫টি।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১৬ জন ভর্তি হয়েছিল করোনার উপসর্গ নিয়ে। তবে তাদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ১২ জন , চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫, নাটোর জেলার ৫, নওগাঁ ২ ও চুয়াডাঙ্গার ১ জন। জুন মাসের ১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৯ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২৯ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছে ৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে ৪৫৯ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, নতুনদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ০৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ০৪ জন, ৩১-৪০ বছর বয়সের ০৩ এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের ০২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০, নাটোরের ৭, নওগাঁর ১১. পাবনার ০১, কুষ্টিয়ার ০১, সিরাগঞ্জের ০১, চুয়াডাঙ্গার ০১, ঝিনাইদহের ০১ ও মেহেরপুরের ০১ জন। সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫০ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৫৯ জন। অতিরিক্ত রোগিদের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরদিকে কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে রাজশাহীর ৩০৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫১ জন, নাটোরের ৩১ জন, নওগাঁর ৩৭ জন, পাবনার ২৪ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুইজন, দিনাজপুরের দুইজন, মেহেরপুরের একজন ও ঢাকার একজন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন। সর্বপরি রাজশাহীতে আবারো বৃদ্ধি পেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সোমবার ২টি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪৫৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। গত দিনের দিনের চেয়ে ৯.০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান শনাক্তের হার ৩৬.৯২ শতাংশ। গত রবিবার ছিল ২৭.৮৪ শতাংশ, শনিবার ছিল ২৯.০৮ শতাংশ, শুক্রবার ৩৪.৫০, বৃহস্পতিবার ছিল ২৯.৭৫, বুধবার ৩৩.৯৫, মঙ্গলবার ৩৩.০৫ এবং সোমবার সংক্রমণ ছিল ৩৩.৫১%।