সময় সংবাদ ডেস্কঃ
গৃহকর্মীকে মারধর করে তার শরীরে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে বাথরুমে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ইমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
গৃহকর্মী রুনা আক্তারের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দিলে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে নগরের শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নম্বর বাসার বাথরুম থেকে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং ইমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। তবে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফারহানা চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, গৃহকর্মী নিজেই শরীরে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত শাহপরাণ (রহ.) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা কিশোরী গৃহকর্মীকে উদ্ধার ও সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ইমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে এসেছি।
বিকেল ৬টায় তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এরপর বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নম্বর বাসায় (ফিরোজা মঞ্জিল) সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক ইমরান হোসেনের বাসার বাথরুমে কিশোরী গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় তার শরীরে মরিচের গুঁড়োও ছিটিয়ে দেয়া হয়। দুপুরে রুনা আক্তারের চিৎকার ও কান্না শুনে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে শাহপরাণ থানার একদল পুলিশ ইমরান হোসেনের বাসায় গিয়ে বাথরুম থেকে রুনা আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহপরাণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গৃহকর্মী রুনা আক্তার জানায়, তার বাড়ি ঢাকার গাজীপুরে। বিগত এক মাস ধরে সে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছে। তবে কাজে একটু এদিক-সেদিক হলেই গৃহকর্তী ফারহানা চৌধুরী তাকে মারধর করতেন। বুধবার তাকে সারা শরীরে কিল ও লাথি মারেন। একপর্যায়ে চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে বাথরুমে আটকে রাখেন। সে এ সময় বাবা-মার কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।