রাজবাড়ীতে নেমপ্লেট মুছে সরকারি ঘর বেদখল - বঞ্চিত উপকারভোগী - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ২৪, ২০২১

রাজবাড়ীতে নেমপ্লেট মুছে সরকারি ঘর বেদখল - বঞ্চিত উপকারভোগী



স্টাফ রিপোর্টারঃ


‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান, টি আর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’  প্রকল্পে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১ নং মিজানপুর ইউনিয়নের বাগমারা ৩নং ওয়ার্ডে উপকারভোগী বাছের উদ্দীন মোল্লার ছেলে মঞ্জিল মোল্লা’র নামে ১৯-২০ অর্থবছরে ২লক্ষ ৫৮ হাজার৫শত ৫১ টাকা মুল্যের সরকারি ঘর বরাদ্দ হলেও আজও ঘরটি উপকারভোগীর বেদখলে।  ঘরের পিলারের সাথে লাগানো ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান, টি আর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ সম্বলিত নেমপ্লেটে থাকা প্রধানমন্ত্রী ও উপকারভোগী’র নাম অন্য রঙ দিয়ে মুছে সেটি ব্যাবহার করছে অন্যজন।   


ঘরটি বর্তমানে দখলে রয়েছে স্থানিয় ইউপি সদস্য মাগমারা ৩নং ওয়ার্ডের মোস্তফা মোল্লার ভাই কোরবান মোল্লা। বাগমারা খন্দকারবাড়ী সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সরকারি ঘরটিতে কোরবান মোল্লা ও তার পরিবার স্বজনদের নিয়ে বসবাস করছে।


সরকারি ঘর বিক্রি ও উপকার ভোগির বেদখল এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  কোরবান মোল্লা ও তার স্ত্রী স্বজন নিয়ে ঘরে বসবাস করছে। সরকারি ঘর পেয়ে সে অনেক খুশি ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করে। কোরবান মোল্লা জানান, আমার ভাই বাগমারা ইউপি’র  ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ।সে আমাকে বিনা মুল্যেই ঘরটি দিয়েছেন। আমি সন্তানাদি নিয়ে এখানে বসবাস করছি।ঘরের কাজের মান ভালো হয়েছে বেলেও সে দাবী করে।’


কিন্ত সরকারি অন্যান্য ঘরের সাথে ঘরটির কাঠামোগত পরিবর্তন দেখা যায়। এবং উপকার ভোগীর নাম মুছে দেওয়া কেন এ বিষয়ে কোরবান মোল্লা জানায়,আমার ভাই মেম্বার জানেন।’ এ বিষয়ে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।


এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের উপকারভীগী মঞ্জিল মোল্লার সাথে কথা হয়। মঞ্জিল মোল্লা (৬৫) জানান, আমিতো নিজেই জানিনা যে আমার নামে সরকার ঘর দিয়েছেন। তিনি জানান, বছর খানেক আগে আমার কাছ থেকে আমারই ভাইয়ের ছেলে মোস্তফা মেম্বার আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি  নেয়। আমার নামে ঘর দেওয়ার কথা বলে। আমি জানতামই না যে আমার নামে ঘর এসেছে। এতদিন পর জানলাম আমার নামে ঘর এসেছে কিন্তু এটা মেম্বার তার ভাইকে দিয়েছে। কিন্ত যদি আমার নামে ঘর আসে আমার বাড়ির মধ্যেই আমার যায়গায় ঘর ওঠানোর কথা । আমার যায়গায় না দিয়ে মেম্বার তার ভাইয়ের যায়গায় তাকে ঘরটি দিয়েছে। আমি গরীব মানুষ,আমার লোকজন নাই, আমার ক্ষমতা নাই। আমি এ কথা বলতে গেলে আমার উপর অত্যাচার হবে।


এ বিষয়ে অনিয়মের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোস্তফা মোল্লা  জানান, ঘর মঞ্জিল মোল্লার নামেই আছে ,তার যায়গায়ই ঘর।


এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মোঃ সাইফ জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক । এক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here