ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ক্রসফায়ারে ৪র্থ শ্রেনীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহত যুবক শামীম হোসেন (২৮)। গোদাগাড়ী উপজেলার থানাধীন কাকন হাট পৌরসভা বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় কাকন হাট ফাঁড়ির এস,আই মোঃ মাজেদ এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ওই যুবককে উদ্ধার করে। পরে আহত ব্যাক্তিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ৪.৩০টার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী জেলা পুলিশ ষুত্রমতে জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে দিচ্ছিল। ওই সময় কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী হঠাৎ করে পুলিশের উপর এলাপাতারি গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধে ০১ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে শুক্রবার সকালে পুলিশ তার পরিচয় জানতে পারে। জানাযায়, গত শনিবার গোদাগাড়ী উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ওই মামলার আসামী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ওই নিহত ব্যাক্তি নিকট হতে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নিহত যবকের নাম শামীম (২১)।
নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানযায়, ওই রাত অনুমান ১১.৩০টার সময় শিশুটি নিজ বাড়িতে টিভি দেখছিল এবং এক সময় মেয়েটি তার কক্ষে ঘুমাতে যায়। কিন্ত পরেদিন রবিাবর সকালে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে তাদের নিজ বাড়ির পাশের ধানের খড়ের পালার নিচে শিশু মেয়ের মৃত দেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরাদেহ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য রামেকে প্রেরণ করেন। তদন্ত রির্পোটের পর জানাযায় ওই শিশু ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, অপরাধীর সাস্তি যথাযথ হয়েছে।
রাজশাহী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম প্রতিবেদককে বলেন, শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার পর থেকে জড়িতদের আটকের জন্য কাজ করে যাচ্ছিল পুলিশ। শুক্রবার দবিাগত রাতেও টহল দিচ্ছিল থানা পুলিশ। ওই সময় কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী কর্তব্যরত পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ তার জানমাল রক্ষার্থে পালটা গুলি চালায়। ওই সময় একজন গুলিবৃদ্ধ হয়। সকালে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগরে এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত ওই শিশু আনোয়ার হোসেনের কণ্যা।