বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক ‘সিংকহোল’, হঠাৎ করেই তৈরি হচ্ছে দানবীয় গর্ত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুন ২১, ২০২১

বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক ‘সিংকহোল’, হঠাৎ করেই তৈরি হচ্ছে দানবীয় গর্ত


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্কের নাম ‘সিংকহোল’। গত এক মাসে ৫ দেশে দানবাকৃতির গর্ত তৈরির পর আলোচনায় এসেছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের উৎপত্তি ও কারণ। সম্প্রতি ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিধ্বসের মতোই বাড়ছে সিংকহোল। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দানবীয় গর্ত তৈরিতে। তবে প্রকৃতিতে এমন দানবীয় গর্ত তৈরির ঘটনা নতুন নয়। যুগে যুগে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে। তবে সম্প্রতি অনেকটা বেড়েছে এর হার। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দানবীয় গর্ত তৈরিতে - সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দানবীয় গর্ত তৈরিতে - সংগৃহীত



গেল বছর ডিসেম্বরে এক ভূমিকম্পের পর একশ’র বেশি সিংকহোল তৈরি হয় ক্রোয়েশিয়ায়। গত এক মাসে তুরস্ক, ইতালি, মেক্সিকো, ইসরায়েলের পর এবার ভারতেও তৈরি হয়েছে সিংকহোল।





বিজ্ঞানীরা বলছেন, কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী লাগে একটি সিংকহোল তৈরি হতে। ইউএসজিএস বলছে, ভূগর্ভস্থ পানি অথবা খনিজ উত্তোলন করা হলে মাটির অভ্যন্তরে ফাঁপা জায়গা তৈরি হয়। নিচের স্তরের মাটি যখন ভূমির উপরের চাপ নিতে পারে না তখনই ধসে পড়ে আর তৈরি হয় বিশালাকার গর্ত।


কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী লাগে একটি সিংকহোল তৈরি হতে - সংগৃহীত

কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী লাগে একটি সিংকহোল তৈরি হতে - সংগৃহীত



প্রকৃতিতে হঠাৎ সিংকহোল তৈরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আশঙ্কাজনক হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বেড়েছে খরা। কমেছে পানির স্তর। মাটি ক্ষয়, মিথেন গ্যাসের প্রভাব, অধিক হারে ভূগর্ভস্থ পানি ও খনিজ পদার্থ উত্তোলনও দায়ী। অপরিকল্পিত ভূগর্ভস্থ সুয়ারেজ লাইন বা মাটির নিচে নির্মাণ কাজকেই মনে করা হচ্ছে শহরে সিংকহোল বৃদ্ধির কারণ।


অপরিকল্পিত ভূগর্ভস্থ সুয়ারেজ লাইন বা মাটির নিচে নির্মাণ কাজকেই মনে করা হচ্ছে শহরে সিংকহোল বৃদ্ধির কারণ - সংগৃহীত

অপরিকল্পিত ভূগর্ভস্থ সুয়ারেজ লাইন বা মাটির নিচে নির্মাণ কাজকেই মনে করা হচ্ছে শহরে সিংকহোল বৃদ্ধির কারণ - সংগৃহীত



বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সিংকহোল তৈরি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। এর পরের অবস্থানেই তুরস্কের কোনিয়া। মাত্র এক বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে দেশটির দানবগর্ত। চলতি বছরই সন্ধান মিলেছে ৬ শতাধিক সিংকহোলের। চীন আর রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলেও বিশালাকার গর্ত আছে বেশ কিছু।


জানা গেছে, একেক এলাকায় সিংকহোলের আকার বা গভীরতা একেক রকম। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সিংকহোলের সন্ধান পাওয়া গেছে সাইবেরিয়ায়। সেখানে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এমন দানবগর্ত।

Post Top Ad

Responsive Ads Here