সময় সংবাদ ডেস্কঃ
রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে মুফতি আমির হামজাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আমির হামজা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় গত ৩১ মে আমির হামজা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে, গত ২৪ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হামজাকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এরপর গত ২৫ মে আমির হামজার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা গেছে, মুফতি আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সাম্প্রতিক হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা।
গত ৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজকারী আমির হামজার জন্ম ১৯৯১ সালে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কোরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি।