সময় সংবাদ ডেস্কঃ
১৩ বছর ধরে জলে বসবাস করা বৃদ্ধা গোলাপী ও তার ছেলে নুরু মিয়া এবার ডাঙায় উঠতে যাচ্ছেন। সরকারি ঘর পাচ্ছেন তারা। এখনো ঘরের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে এরই মধ্যে মালিকানার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মা-ছেলেকে।
রোববার শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের জয়ন্তী নদীর পাড়ে নুরু মিয়া ও তার মা গোলাপীর হাতে ঘরের মালিকানার কাগজপত্র তুলে দেন ইউএনও আলমগীর হোসাইন।
ইউএনও বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবং গোলাপী চলাচলে অক্ষম হওয়ায় আমরা তাকে রোববার অনুষ্ঠানে আনতে পারিনি। ঘরের কাজ শেষ হলে আমরা তাকে ঘরে উঠিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দেব। রোববার উপজেলার ৩০টি ঘরের মালিকের হাতে মালিকানার দলিল তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫০টি ঘর পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।
বৃদ্ধা গোলাপী ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। তার ছেলে নুরু মিয়া বলেন, আজ ঘরের কাগজ দিয়েছে। ঘর তৈরি হলে সেখানে আমরা উঠব। ১৩ বছর জলে ভেসেছি। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়েছে। এবার মাথার উপরে একটা স্থায়ী ছাদ হবে।
এর আগে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুরে দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২২২টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর ও দলিল বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।