আজকের ঘটে যাওয়া বড়গুনা আমতলির সংবাদগুলো - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুন ২৮, ২০২১

আজকের ঘটে যাওয়া বড়গুনা আমতলির সংবাদগুলো


 


ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে নিঃস্ব আমতলীর মাছ চাষিরা 


ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছাসে আমতলীর নি¤œাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ২৪০ টি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ৩৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার।

জানাগেছে,ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার উপরে ৬২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী সংলগ্ন আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

এতে উপজেলার ২৪০টি ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে ৩৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য বিভাগ।  চাষীরা জানান, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে সকল মাছ ভেসে গেছে। মাছ ঘের থেকে ভেসে যাওয়ার চাষী নিঃস্ব হয়ে গেছে। দ্রæত ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষীদের আর্থিক সহযোগীতার দাবী করেন চাষীরা। এদিকে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের খোজ খবর নিতে উপজেলা মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। বৃহস্পতিবার মৎস্য বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা তৈরি করে আর্থিক অনুদানের জন্য বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসে প্রেরন করেছে। 

গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মাছ চাষী নুরু মৃধা বলেন , পানিতে ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। এতে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আমতলী পৌর শহরের বাঁশতলা গ্রামের দেলোয়ার ফকির বলেন, পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই একর জমির  মাছের ঘের তলিয়ে সকল মাঝ ফেসে গেছে। ঘেরের চারিপাশে জাল দিয়েও রক্ষা করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, এতে  আমার দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

একই গ্রামের লাল মিয়া হাওলাদার ও জাহিদ ফকির বলেন, সব শেষ। আঝে শুধুই স্মৃতি। এতো পানি ১০ বছরেও দেখিনি। তারা আরো বলেন, মাছের ঘের তলিয়ে অন্তত ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে উপজেলার ২৪০ টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৩৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের আর্থিক অনুদানের জন্য তালিকা করে বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসে প্রেরন করেছি। অনুদান পেলে চাষিদের সহযোগীতা করা হবে।        


আমতলী উপজেলায় পানিতে ৪০০ পান বরজ বিনষ্ট


ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের  চার’শ পানের বরজে লবন পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্থ কোটি টাকার ক্ষতিহয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম। পান চাষিরা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।

জানাগেছে,ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার উপরে ৬২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী সংলগ্ন আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। লবন পানিতে উপজেলার চার’শ পানের বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অন্তত অর্থ কোটি টাকা বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ। পান চাষিরা বলেন, বন্যার লবন পানি পান বরজে ঢুকে পানের লতা পঁচে যাচ্ছে। এতে তাদের বেশ সর্বনাশ হয়েছে। মাটি লবনাক্ত হয়ে যাওয়ায় ওই জমিতে এ বছর আর পান চাষ করা সম্ভব হবে না বলে জানান চাষিরা। 

গুলিশাখালী ষোল হাওলাদার গ্রামের পান চাষি হিরু হাওলাদার বলেন, বন্যার লবন পানি ঢুকে আমার ১৮ শতাংশ জমির পান বরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওই জমিতে এ বছর আর পান চাষ করা যাবে না। এতে আমার অন্তত দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। 

একই গ্রামের জামাল হাওলাদার বলেন, বন্যার লবন পানি পান বরজে প্রবেশ করে সব শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার পান বরজই সম্ভল। সেই সম্ভল শেষ হয়ে গেল।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বন্যার লবন পানিতে তলিয়ে উপজেলার চার’শতাধিক পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। 


আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত ,২৫ হাজার মানুষ পানিবন্ধি



আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ষোল হাওলাদার এলাকার ¯øুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ বুধবার রাতে ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ১০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে।  নষ্ট হয়েছে রবি ফসল ও পানের বরজ। বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মাটির বস্তা ফেলে ওই বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করেছেন।

জানাগেছে,  ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও কমেনি পায়রা নদীতে পানির বৃদ্ধির প্রভাব। গত চার দিন ধরে অব্যাহতভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপজেলার নি¤œাঞ্চল তলিয়ে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। বুধবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ষোল হাওলাদার এলাকার ¯øুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে হরিদ্রাবাড়িয়া, কলাগাছিয়া, গোজখালী, ক্লাবঘর, গুলিশাখালী, কালিবাড়ী, ফকিরখালী ও আঙ্গুলকাটাসহ  ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছেন বলে দাবী করেন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম। 

কলাগাছিয়া গ্রামের শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে গেছে। এতে ১০ গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। তিনি আরো বলেন, দ্রæত বাঁধ দিয়ে  লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে আরো ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।   

হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মালেক মাষ্টার বলেন, বুধবার রাতে জোয়ারের পানির চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে রবি ফসল ও পানের বরজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। 

পান চাষি শ্যামল শীল বলেন, বরজে পানি ঢুকে পান গাছ পচে যাচ্ছে। 

গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, পাইলিং দিয়ে বস্তায় মাটি ফেলে বাধ  সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বাঁধ সংস্কার কাজ চলছে। দু’এক দিনের মধ্যে বাধ সংস্কার কাজ শেষ হবে। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছি। 


আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়েতে নৌকায় পারাপার


পায়রা নদীর আমতলী-পুরাকাটা ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় খেয়ার যাত্রীদের কিনারা থেকে পল্টুনে নৌকার পারাপার হয়েছেন। গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় বৃহস্পতিবার চার ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।  এতে অন্তত অর্ধ শত যানবাহন ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পরেছে।

জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও কমেনি পায়রা নদীতে পানির বৃদ্ধির প্রভাব। গত চার দিন ধরে অব্যাহতভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে

নি¤œাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। পায়রা নদীর আমতলী-পুরাকাটা ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে থাকায় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পরেছে অন্তত ৫০টি যানবাহন ও যাত্রীরা। এদিকে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ার খেয়া পারাপারের যাত্রীদের কিনারা থেকে পল্টুনে উঠতে নৌকায় পারাপার হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার ফেরিঘাট গিয়ে দেখাগেছে, ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ার ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিনারা থেকে পল্টুনে খেয়ার যাত্রীরা নৌকার পারাপার হচ্ছে।

আমতলী-পুরাকাটা ফেরি পরিচালক মোঃ আব্দুস ছালাম খান বলেন, পানিতে গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ার ফেরিতে গাড়ী উঠতে পারেনি, তাই চার ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তিনি আরো বলেন, কিনারা থেকে মানুষ নৌকার পারাপার হয়ে ফেরির পল্টুনে উঠে খেয়ায় নদী পারাপার হয়েছে।   

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার উপরে ৬২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পায়রা নদীর আমতলী-পুরাকাটা ফেরি গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে।


আমতলীতে নারিকেল চুরির প্রতিবাদ করায় মারধর, আহত-৪

  

নারিকেল চুরির প্রতিবাদ করায় মন্টু ঘরামীসহ চারজনকে স্থানীয় মহিবুল্লাহ, নাঈম ও তাদের সহযোগীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সংঙ্কটজনক অবস্থায় মন্টু ঘরামীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মন্টু ঘরামী অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে।

জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের বখাটে মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল এলাকার বিভিন্ন বাড়ীর গাছের নারিকেলসহ বিভিন্ন ফল চুরি করে আসছে এমন দাবী মন্টু ঘরামীর। গত সোমবার রাতে  মন্টু ঘরামীর চারটি গাছের অন্তত ৫০ টি নারিকেল চুরি হয়। এতে তিনি মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল নারিকেল চুরি করেছে বলে সন্দেহ করেন। এ নিয়ে বুধবার রাতে উত্তর ডালাচারা চৌরাস্তায় বসে মহিবুল্লাহ, নাঈম ও তার সহযোগীদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মহিবুল্লাহ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মন্টু ঘরামীকে ইট দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেয়। তাকে রক্ষায় তার ভাগ্নে রিপন হাওলাদার, বেল্লাল ঘরামী ও ভাতিজা সোহাগ ঘরামী রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে। দ্রæত স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম মন্টু ঘরামীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত মন্টু ঘরামী বলেন,  বখাটে মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল এলাকার বিভিন্ন বাড়ীর গাছের নারিকেলসহ বিভিন্ন ফল চুরি করে আসছে। গত সোমবার রাতে আমার চারটি গাছের ৫০ টি নারিকেল চুরি হয়। ওই বখাটেরা আমার গাছের নারিকেল চুরি করেছে বলে সন্দেহ হয়। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে আমার দুই ভাগ্নে ও এক ভাতিজাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

মহিবুল্লাহ মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, নারিকেল চুরির ঘটনা মিথ্যা।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আমতলী পৌরসভার উদ্যোগে পানি বন্দি  এক হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরন

  

আমতলী পৌরসভার উদ্যোগে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বন্দি এক হাজার পরিবারের  মাঝে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে এ খাবার বিতরন করা হয়।  

জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমতলী পৌর শহরের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যায়। এতে পানি বন্দি হয়ে পরে পৌর শহরের নদী সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ওই পানি বন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে বুধবার রাতে এক হাজার পরিবার মাঝে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করা হয়। খাবার বিতরন করেন আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার মোদক, পৌর সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ নাশির উদ্দিন, প্যানেল মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মীর, আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, সাংবাদিক মোঃ হোসাইন আলী কাজী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুল হক প্রমুখ।

আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বন্দি পৌর শহরের এক হাজার পরিবারের মাঝে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের কোন মানুষ অভুক্ত থাকবে না। সকল মানুষের দ্বোর গোড়ায় পৌছে দেয়া হবে প্রয়োজন মত সেবা। 


আমতলীতে গলায় লিচু আটকে পুলিশ পরিদর্শকের শিশু পুত্রের মৃত্যু!


গলায়  লিচুর বিচি আটকে বুধবার রাতে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইব্রাহিম খলিলের ১৩ মাস বয়সী শিশু পুত্র মুয়াজের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে সবুজবাগ এলাকায় বুধবার রাতে। 

জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে বরিশালের পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। তিনি বুধবার বিকেলে ছুটিতে বাসায় আসেন। বাবার নিয়ে আসা লিচুর খোসা ফেলে শিশু মুয়াজের হাতে তুলে দেন ফুফু রুবি বেগম। শিশু মুয়াজ লিচু মুখে গিলে ফেলে। এতে শিশুর গলায় বিচিসহ লিচু আটকে পড়ে। দ্রæত স্বজনরা শিশুটিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমদাদুল হক চৌধুরী শিশু মুয়াজের গলা থেকে লিচুর বিচি বের করেন। কিন্তু শিশু মুয়াজ ততক্ষনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে রাত সাড়ে ৯ টায় শিশু মুয়াজের মৃত্যু হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিশুটির গলায় লিচু আটকে  শ্বাস বন্ধ হয়ে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় তার ব্রেইন এবং হার্ট  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, বেশীক্ষণ শ্বাস বন্ধ থাকার ফলে তার শরীর নীল রং ধারন করে এবং অজ্ঞান হয়ে পরে। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর  লিচু বের করে  প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে জরুরী ভাবে  উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

শিশুটির নানা মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, মুয়াজকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। 


Post Top Ad

Responsive Ads Here