সময় সংবাদ ডেস্কঃ
আলোচিত ঘাতক মেহজাবিন ইসলাম মুন আগেও খুন করেছেন। তাও আবার নিজের স্বামীকে। প্রথম স্বামীকে খুন করার পর পাঁচ বছর জেল খাটেন তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বিয়ে করেন আরেক খুনিকে!
রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের প্রথম বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ কেরানিগঞ্জে। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তার স্বজনরা।
মা, বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করার পর ৯৯৯-এ কল দেন মেহজাবিন। কল দিয়েই বলেন- ‘আপনার দ্রুত না আসলে আমার স্বামী ও মেয়েকে খুন করে ফেলবো।’ পুলিশ তাড়াতাড়ি আসায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার আগের ঘরের মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তিয়া (৬)।
ঘাতক মেহজাবিনের খালা ইয়াসমিন জানান, মেহজাবীনের স্বামী শফিক একজন খুনি ও একাধিক মামলার আসামি। ৫ বছর আগে কেরানীগঞ্জে একজনকে হত্যা করে। সে মামলা থেকে রেহাই পেতে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে শফিকুল। কিন্তু শেষমেষ সঙ্কট দেখা দিলে মেহজাবিনকে টাকার জন্য চাপ দিতো। এনিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলতো।
তিনি বলেন, শফিক তার শালি জান্নাতুল ইসলামের সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতো। এ নিয়ে আমার ভাগ্নি (জান্নাতুল) ও বোনের সঙ্গে শফিকের কলহ লেগেই থাকত। ৪ বছর আগে শফিক আমার বোনকে (তার শাশুড়ি) হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। চিকিৎসা করতেও বাধা দেয়। দরজা-জানালা বন্ধ করে আমার বোন ও ভাগ্নিকে প্রায়ই মারধর করত। এ বিষয়ে কদমতলী থানায় অভিযোগ জানিয়ে কোনো ফল না পেয়ে কোর্টে মামলাও করা হয়েছে।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, মেহজাবিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।